টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদের পাশে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে শুরু হয়েছে ব্যপক সমালোচনা। তবে মুনমুন বলছেন,‘যদি জানতাম সেখানে মসজিদ আছে তাহলে কখনোই আমি নাচতাম না।’
চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, ‘টাঙ্গাইলের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। এক সময় নৌকা ভ্রমণের মাঝপথে আমরা এক জায়গায় সবাই মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য একত্রিত হই। ওই জায়গাটা ছিল পরিত্যক্ত। সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজ শেষে সেখানে সবার রিকোয়েস্টে আমাকে সামান্য নাচতে হয়। তবে মসজিদ লেখা সাইনবোর্ডটি আমি দেখিনি। যদি দেখতাম তাহলে ওখানে নাচ তো দূরের কথা বসে আড্ডাও দিতাম না। কারণ আমিও মুসলিম। আর আমি আমার ধর্মকে পালন করি।’
মুনমুন আরো বলেন, ‘আমার নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমি খোঁজ নেই। খোঁজ নেয়ার পর আমি জানতে পারি, যে জায়গাটায় আমরা ছিলাম, ওই জায়গাটা অনেক আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে মসজিদ ছিল। তাই স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মসজিদ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। আমার সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সখীপুরের চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সেই স্থানে মসজিদ রয়েছে তারা অবশ্যই জানতেন। কিন্তু তারা তো নিষেধ করেন নি। এখন যত দোষ নন্দ ঘোষ।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে যারা দাওয়াত দিয়ে নিয়েছেন তাদের রিকোয়েস্টে অল্প সময় নেচেছি। আর সেখানে কোনো অশ্লীল নাচ কিন্তু করেনি। যেটা নিয়ে অনেকে মাতামাতি করছেন। আমি জেনে শুনে তো আর মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে নাচবো না। এই ভিডিও নিয়ে যারা মাতামাতি করছেন তাদেরকে বলবো এসব বন্ধ করুন।
জানা যায়, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সখীপুর পৌরশহরের স্থানীয় লোকেদের আমন্ত্রণে নৌকা ভ্রমণে যান চিত্রনায়িকা মুনমুন। ভ্রমণ শেষে বাজার মসজিদের সামনে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নায়িকা মুনমুনকে নিয়ে নাচের আসর বসানো হয়। পরে নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।