যশোর শহরের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুটি ফিজিওথেরাপী সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। সোমবার পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম ধরা পড়ার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শহরের আরো কয়েকটি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ত্রুটি সংশোধণের নির্দেশ দেন জেলার প্রধান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, বন্ধ ঘোষণা করা ৪ প্রতিষ্ঠান হলো যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত মিড পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে অবস্থিত
ইউনিক হসপিটালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ফিজিওথেরাপী সেন্টার ও শাহাজালাল ফিজিওথেরাপী সেন্টার। সিভিল সার্জন জানান, মিড পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।
লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিলো। সেখানকার আল্ট্রাসনো রুমের এসি নষ্ট, বিন নেই ও রুম ছোট। তিনি আরো জানান, ইউনিক হসপিটালের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রমে নানা অনিয়ম ধরা পড়েছে। প্যাথলজিস্ট ছাড়াই সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছিলো। রোগীরা মোটা অংকের টাকা ব্যয় করেও ইউনিকে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার সঠিক ফলাফল পাচ্ছিলেন না। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, সেবা ফিজিওথেরাপী ও ও শাহাজালাল ফিজিওথেরাপী সেন্টার পুরোপুরি অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিলো। দুটির একটিতেও নেই ফিজিওথেরাপিস্ট।
ফলে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, সেবা ফিজিওথেরাপী সেন্টার পরিদর্শনের খবর শুনে শাহাজালাল ফিজিওথেরাপী সেন্টার কর্তৃপক্ষ গেটে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়। মালিকপক্ষের খোঁজ করেও দেখা মেলেনি। শাহাজালাল ফিজিওথেরাপী বন্ধ ঘোষণার পরও যদি কার্যক্রম চালু করা হয় তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সিভিল সার্জন জানান, এদিন আরো কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে। এই সময় ছোটখাটো ত্রুটি চোখে পড়ার কারণে মালিকপক্ষকে সংশোধণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

পরিদর্শনের সময় সিভিল সার্জনের সাথে ছিলেন যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইমতিয়াজ, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান প্রমুখ।