দেশে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনের শুরুতেই বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের সঙ্গে রফতানি আয় বেড়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জাইকার ৩০ কোটি ডলারের সহযোগিতা। এ কারণে রির্জাভের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসের শেষ ২৭ দিনে প্রবাসীরা ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। জুলাই মাসে পাঠিয়েছেন ২৬০ কোটি ডলার। জুন মাসে দেশে এসেছে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অতীতে কখনও ধারাবাহিকভাবে এতো রেমিটেন্স দেশে আসেনি।
প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় ২৩ জুন। এর আগে ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিম্নগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে। দেশে উন্নয়নশীল কাজের অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।