সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে এমপি হতে পরিবারের পাঁচ সদস্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক কেৌতুহল সৃষ্টি করেছে। মনোনয়ন ফরম বিতরণের প্রথমদিন গত সোমবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহজাবিন শিরিন পিয়া।
বুধবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে পিয়ার স্বামী ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছন প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর স্ত্রী, ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নাহার শরীফ ও ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ। এদিকে ডিলুর আরেক ছেলে কনক শরীফেরও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার কথা রয়েছে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডিলুর সাবেক এপিএস ও খালাতো ভাই বশির আহমেদও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর অবর্তমানে ঈশ্বরদীর রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে এই নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে টানাপোড়ন দীর্ঘদিনের। মনোনয়ন চেয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন তার কন্যা পিয়া। সেদিন তিনি বলেন, আমার মা কামরুন্নাহার শরীফ, ছোট ভাই গালিবুর রহমান শরীফ ও স্বামী ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও দীর্ঘ ২৬ বছর আমিই বাবার সঙ্গে হাত ধরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছি।
এখন বাবার অনুপস্থিতিতে পরিবারের কেউ দলীয় মনোনয়ন চাইলে সেটা অন্যায় হবে, কারণ আমি ছাড়া আমার পরিবারে অন্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য নয়।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, শামসুর রহমান শরীফ ডিলু জীবিত থাকতেই তার পরিবারের সদস্যরা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেন। তার ছেলে শিরহান শরীফ তমাল গ্রেফতারও করা হয়। বহিষ্কার করা ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদ থেকেও।
পারিবারিক বিবাদ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এ পরিবারের বাইরে থেকে যে কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে আগ্রহী ২৫ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।