বরিশালের কলেজ এভিনিউ ৭ নং গলিতে একটি ফ্লাট বাড়িতে নিচতলার একটি ফ্লাটে কয়েকটি নাবালিকা ও কয়েকজন পেশাদার দেহজিবীদের নিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। নগরীর পলাশপুরের চিন্হিত মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী মুন্নি এই ফ্লাট ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে অবৈধভাবে মাদকের পসরা ও কল গার্ল দিয়ে দেহ ব্যবসা।
একইসাথে মুন্নির স্বামীর সহযোগীতায় চলে খদ্দেরকে ফিটিং ও ছিনতাইয়ের ঘটনা।অনুসন্ধানে প্রতিবেদক এর হাতে এর বেশ কয়েকটি অডিও ফোন রেকর্ড আর ঘটনার ভিডিও চিত্র এসেছে। এসব রেকর্ড আর ভিডিও থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মুন্নি বরিশালের কলেজ এভিনিউ ৭ নং গলিতে হাকিম ম্যানসনের নিচতলার একটি ফ্লাটে চরকাউয়ার একাধিক পতিতাকে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে চালায় ‘মিনি পতিতালয় ‘।
এদের খদ্দের হিসেবে তরুণ ও বরিশালে যারা স্থানীয় বাসিন্দা নন, এমন লোকজনকে নির্বাচন করে ফিটিং দেয়া হয়। ফোনে এই খদ্দের ঠিক করে মুন্নি নিজেই দামদর করে সব ঠিক করেন। অনৈতিক এ বাণিজ্য চালানোর পাশাপাশি মুন্নি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ইয়াবা ও গাজা ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে।
সূত্রমতে, মুন্নির সাথে কথা বলে পতিতার কাছে (মুন্নির ঘরে) খদ্দের গেলেই শুরু হয় মুন্নির স্বামীর নাটক। কখনও ডিবি,কখনও সাংবাদিকরা এসেছে বলে পতিতা ও খদ্দেরের অশ্লীল ছবি জোরপূর্বক তুলে তারপর শুরু করে ব্লাকমেইল ।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাকিম ম্যানসনে প্রায় দু’মাসের বেশী সময় ধরে এ কর্মকাণ্ড চলছে। বিভিন্ন সময় ভিআইপি কায়দায় লোকজন এলেও কেউ হাতেনাতে ধরতে পারেনি। তবে এবার সাংবাদিকদের হাতে এই প্রথম ‘ দেহব্যবসায়ী মুন্নি’ ধরা পড়েছে।
মুন্নি এই মিনি পতিতালয় এর বিষয়ে ফোনে প্রতিবেদককে বলেন ‘ আমি একটি মেয়ে রেখেছি, সে এই খদ্দের আনে। আমি ফোনে শুধু কথা বলেছি। আর এ বিষয়ে সংবাদ ছাপা হলে তাকে আমি সাত দিনের মধ্যে ‘দেখিয়ে দেব’ ।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক বলেন ‘ বরিশালের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয় এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। অতএব রেহাই পাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নেব।