বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় মেয়ে “না” বলায় অক্ষম হয়ে জন্মায়।
তার পরিবারের কেউ হোক অথবা বাইরের কেউ হোক, যে ই অত্যাচার অনাচার দাবি করুক তার উপর তবুও সে মুখ ফুটে “না” শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেনা।
দেখা গেলো দুঃসম্পর্কের কোনো আত্মীয় তাঁর শরীরে নোংরা হাত ছোঁয়ালো, সে মুখ বুজে সহ্য করবে, কষ্টে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তে যাবে তবুও প্রতিবাদ করার সাহস করবে না, “না” বলার অক্ষমতায় নিজের সত্বাকে হারিয়ে ফেলবে, তবুও একবারের জন্য “না” করতে পারবেনা।
আসলে এখানে ওই মেয়েটির কোনো দোষ থাকেনা, আমাদের দেশের সমাজটাই গড়ে উঠেছে এভাবে। মনে করেন, আমার মা আমাকে শিখিয়েছেন চুপ থাকা, আমার মা’কে চুপ থাকা শিখিয়েছেন উনার মা। আমি আবার চুপ থাকা শেখাবো আমার সন্তানদের। এরকম একটা রীতি হয়ে গেছে আমাদের। আমরা মেয়েরা বাঁচিই চুপ থেকে।
যদিও এখন মেয়েরা নিজেদেরকে মডার্ণ বলে দাবিকরে, তারপরও হিসাবে দেখা যাবে প্রতিনিয়ত মেয়েরা চুপ থাকার জন্য, “না” শব্দটি বলতে না পারার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে। সে হোক, ফ্যামিলীতে অথবা কর্মক্ষেত্রে।
ভীড় বাসের মধ্যে ছেলেমেয়ে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যাবে পুরুষের পুরুষত্ব জেগে উঠে, নিজেদেরকে তারা “কন্ট্রোল” করতে পারেনা। আর, মেয়ে চুপচাপ ওড়না খামচে, শাড়ির আঁচল খামচে দাঁড়িয়ে থাকে।
মুখ বুজে কষ্ট সহ্য করার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় আমাদের মেয়েরা, এরা নিজেকে শেষ করে দিতে পারবে তবুও যে কষ্ট দিবে সেইজনের প্রতি বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেনা।
তবে আশার কথা এই, কিছু মেয়ে এখন চিৎকার করা শিখে গেছে। হয়তবা তারা তাদের সন্তানদেরকে শেখাবে, কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়, কিভাবে “না” বলতে হয়। তবেই যদি ‘না’ বলার ক্ষমতাটা পেয়ে যায় নারী সমাজ।