1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চিকিৎসকেরা সম্মতি দিলেই খালেদা জিয়াকে আগামী রবিবার  লন্ডনে নেয়া হবে- বিএনপির মহাসচিব সংবাদ প্রকাশের জেরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিককে হেনস্তা ডেসকোর কল সেন্টারের নতুন যাত্রা শুরু আইরিশদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ডেসকো জিয়া পরিষদের বিশেষ দোয়া মাহফিল স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে  আলোকচিত্র প্রদর্শনী “ আনটোল্ড” অনুষ্ঠিত আনিনুল হক’কে ঢাকা-১৬ আসন উপহারের ঘোষনা বুলবুল হক মল্লিকে’র বোয়ালমারীতে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কা, এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ডিআইজি পদে পুলিশের ৩৩ পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতি

৫ আগস্টে নিহত আলামিনের চিকিৎসা সনদ আত্মসাতের অভিযোগ, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • সময় : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৯

স্টাফ রিপোর্টার –

৫ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতার গনভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশ মেতেছিল এক আনন্দ উল্লাসে। সেই আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে আফতাবনগরের বাসা থেকে বেরিয়ে বাড্ডা এলাকায় যান এসি মেকানিক মো. আল আমিন।

আন্দোলনকারী ও আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়া মানুষদের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ সদস্যরা।

এক পর্যায়ে সেদিন ৫ আগস্ট রাতে আল-আমিনের শরীরে লাগে একটি তাজা বুলেট। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নিভে যায় তাঁর জীবন প্রদীপ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদের তালিকায় নাম রয়েছে আল-আমিনের। নিহত আলামিনের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আলামিনের মৃত্যু হয়েছে মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে।

নিহত আলামিনের স্ত্রী সুমী আক্তার বলেন, ‘ আমার স্বামী ঘটনার দিন দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে বাসা থেকে বের হয়। তারপর মোবাইলে সন্ধ্যার পর একবার কথা হয়। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে যে, আলামিনের গুলি লেগেছে মুগদা হাসপাতালে আছে। এরপর আলামিন এর বড় ভাই এবং আমি গিয়ে হাসপাতালে দেখি ওর লাশ, ও মারা গেছে। ‘

আলামিনকে কোথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ যিনি আলামিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তিনি আমাদের বলেন আলামিনকে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে গুলিবিদ্ধ পাইছে৷ পরে সেখান থেকে তাকে  নিয়ে গেছে হাসপাতালে। ‘

নিহত আলামিনের বড় ভাই মো. পারভেজ  বলেন, আমার ভাই আলামিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যে নিয়ে গেছে সে আমাদের বলেছে, ব্রাক ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে আলামিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে৷ সেই রাতে বাড্ডা থানার পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। সে পুলিশের গুলিতেই মারা গেছে।’

পারভেজ আরও বলেন,’ আল আমিন মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবার অনেক কষ্টে দিন পার করছি। কিছু লোকজন আমাদের সাহায্য করার নাম করে আলামিনের মৃত্যুর সনদ, হাসপাতালের কাগজপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু আমরা কোন ধরনের সহায়তা পাইনি এখনো।’

আলামিন হত্যার ঘটনায়  গত ১৩ আগস্ট -২০২৫ সালে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার বাদী আল আমিনের বড়ভাই পারভেজ। মামলা নম্বর-১৮।

মামলার এজাহারে দেখা যায়, আল আমিন হত্যা মামলায় ১৯৬ জন আসামির নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে। ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আল-আমিন হত্যার ঘটনায় এর আগে দুটি মামলা হয়েছিল দুই থানায়৷ একটি মামলা দায়ের হয়েছিল ভাটারা থানায় এবং অপর মামলা হাতিরঝিল থানায়।

কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই দুইটি মামলার বাদী ছিলেন অচেনা ব্যক্তি। নিহত আল-আমিনের পরিবারই জানতো না এসব মামলা কারা করেছিল। মুলত আল আমিনের মৃত্যুর সনদপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এই মামলা গুলো দায়ের করে একটি স্বাথনেসী মহল।  পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, প্রশাসনের উর্ধ্বত্বন কতৃপক্ষের নির্দেশে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহত আল আমিনের আপন বড় ভাই পারভেজ।

বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে আরও দেখা যায় , এই মামলার ১৬ নম্বর আসামির নাম নিজাম উদ্দিন টিপু ওরফে মোবাইল টিপু। যিনি বর্তমানে রামপুরা ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তার বিরুদ্ধে নিহত আল আমিনের চিকিৎসার সনদ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

আল আমিনের পরিবারের অভিযোগ, ‘ নিজাম উদ্দিন টিপু নামের এই বিএনপি নেতা নিহত আল আমিনের চিকিৎসা সনদপত্র দিয়ে মানুষকে নানা ধরনের হয়রানি করেছেন।’

আল আমিন হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন টিপুর সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জানতে চাইলে এই মামলার বিষয়ে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ আমি তো জানি না এই মামলায় কেমনে আসামি হলাম। আমি তো জুলাই আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমাকে কিভাবে আসামি করা হল। ‘

এই মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুল ইসলাম জানান, জুলাই হত্যার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছে।আল আমিন হত্যা মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে।

শহীদ আল আমিন হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জুলাই ফাউন্ডেশনের সিইও আকবর হোসেন জানান, নিহত আল আমিনের পরিবারকে ইতিমধ্যে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ৫ লক্ষ দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এই মামলার প্রয়োজনীয় সকল আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪