নিজস্ব প্রতিবেদন
বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকার সদরঘাটে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, অনেক যাত্রী লঞ্চ বন্ধের খবর না জেনে বৃষ্টির ঝুঁকি নিয়েই সদরঘাটে এসেছেন। কেউ ফিরে যাচ্ছেন, কেউ ছুটে যাচ্ছেন বিকল্প পরিবহনের খোঁজে, আবার কেউ শেষ ভরসা হিসেবে রাত পর্যন্ত অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পটুয়াখালীর আমতলীর যাত্রী ব্যবসায়ী শহীদ ছেলেকে নিয়ে ঘাটে এসে বলেন, “ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় আসছিলাম, আজ ফেরার কথা ছিল। জানতামই না লঞ্চ বন্ধ। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করব, যদি না চলে, তাহলে বোডিং খুঁজে থাকতে হবে।”
একই রকম হতাশা নিয়ে মিরপুর থেকে ঘাটে এসেছেন ভোলাগামী মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। তার কথায়, “লঞ্চ বন্ধ জানলে এই কষ্ট করে আসতাম না। এখন আবার ফিরে যেতে হবে। সময়ও নষ্ট, টাকা-শ্রম সবই বৃথা গেল।”
ফরিদপুরগামী গৃহবধূ সালমা আক্তার বলেন, “তিন শিশু নিয়ে এসেছি। লঞ্চ বন্ধের কথা আগেই জানলে ঘর থেকে বের হতাম না। এখন না পারছি ফিরতে, না পারছি যেতে। একটা চেয়ারও খালি নেই বসার মতো।”
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, সকালে কয়েকটি লঞ্চ বিভিন্ন রুট থেকে সদরঘাটে এসেছে। তবে দুপুরের পর থেকে সব রুটেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র চাঁদপুর রুটে সীমিতভাবে চলেছে কিছু লঞ্চ।
প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চটি রাত ৯টায় বরিশাল যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটিও বাতিল হয়েছে। লঞ্চের স্টাফ মাসুদ বলেন, “বিকেলে আমাদের জানানো হয় লঞ্চ যাবে না। যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। কেবিন বুকিং দেওয়া যাত্রীরা টাকা ফেরত নিচ্ছেন। কেউ কেউ আগামী দিনের টিকিট কাটছেন।”
বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাট টার্মিনালের যুগ্ম পরিচালক মুহম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, “সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। তাই সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলছিল। বিকেল ৩টা থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ হলে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”