1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুন্দরবন থেকে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় সমস্যার জায়গা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার মডেল মেঘনা রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে আর্সেনাল সাভারে চাঁদা না পেয়ে মার্কেট কর্মচারী আব্দুর রহিমকে যুবলীগ নেতা বানানোর অপচেষ্টা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সাভারের আলোচিত ডাকাত সর্দার লেগুনা আপেল গ্রেপ্তার আমরা ‘হানাহানি-বিদ্বেষমুক্ত একটা শান্তির দেশ চাই’- সেনাপ্রধান বাংলাদেশে মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

ডিএমটিসিএলের ৪ চার কর্মীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের ২ সদস্য বরখাস্ত

  • সময় : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১৭

স্টাফ রিপোর্টার-

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চার কর্মীকে  শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এমআরটি পুলিশের এক এসআইসহ দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সচিবালয় স্টেশনে এসব তথ্য জানান মেট্রোরেলের এমডি ফারুক আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে এমআরটি পুলিশের হাতে মেট্রোরেলের চার কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হন। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ  এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। ফলে সোমবার সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচলে নানা জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাত্রীদের ভাড়া আদায় করার ব্যবস্থা কোথাও কোথাও অকার্যকর হয়ে পড়ে।

পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের পর প্রত্যাহার করে আবারও টিকিট ব্যবস্থা চালু করেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। কর্মবিরতি প্রত্যাহারে সকাল ১০টার পর মোটামুটি মেট্রোরেলের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

এতে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ বিকেল সোয়া ৫টায় ডিএমটিসিএলের চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ দ্বারা মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। মূলত আনুমানিক বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুজন মহিলা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না দেখিয়েই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।

তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন ও একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গেও ইএফও তে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।

উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেলের কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) তিনি উক্ত  ঘটনার বিবৃতি দেয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪