নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবহন খাতে সকল চাঁদাবাজদের আস্তানা ভেঙে দিতে হবে বলে মন্তব্য করছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজী বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ, পরিবহন ইউনিট এ আলোচনা সভার আয়োজন সভার করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করে পরিবহনখাতকে কল্যাণমূলক খাতে পরিনত করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের কর্মজীবন শেষে পেনশন ভাতা ও স্বাস্থ্য ভাতা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।ছাত্র-জনতা একটি কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জীবন দিয়েছে। কোনো মাফিয়াতন্ত্র, চাঁদাবাজির জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি। কোথাও কোনো চাঁদাাবজি, দখলদারিত্ব চলবে না। এসব হতে দেওয়া হবে না। পরিবহনখাতে যাত্রাবাড়ী,গাবতলি, মহাখালীতে যেসব চাঁদাবাজির দোকান ছিল সেগুলো বন্ধ করতে হবে। যেখানেই চাঁদাবাজদের দেখবেন তাদের ধরে হাত ভেঙে দিবেন আপনারা। আমরা সাংবাদিক, পরিবহন মালিকসহ সবার সঙ্গে বসব কোথাও কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। গত কয়েকবছর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে হয়রানি হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদপত্রের অফিস, টেলিভিশন দখল চলবে না। এসবের জন্য এই বিপ্লব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়,এটা ছাত্র-জনতার ম্যান্টেট গঠিত সরকার। এখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নাই, তাই সরকারকে আরও বেশি কার্যকর করার জন্য গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামায়াতসহ একটিভ রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ্য ও দক্ষ আরও ১০ জনকে যুক্ত করার আহ্বান করছি। মনে রাখতে হবে এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। তাই দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সভায় প্রধান বক্তা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল আমসা আমিন বলেন, ‘চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দলবাজ, লাঠিয়ালবাজের কোনো স্থান পরিবহন সেক্টরে হবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে শুধু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই শেষ করেনি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নগুলোও ধ্বংস করেছে।’
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্নপর্যায়ের পরিবহন শ্রমিক নেতারা ও পরিবহন মালিক নেতারা বক্তব্য দেন।