ডেস্ক রিপোর্ট-
আজ শুক্রবার ( ১২ জুলাই) ভোর হতেই রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি। জলাবদ্ধতার কারণে ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতা সমাগম বেশ কমেছে।
দোকানদাররা বলছেন, বন্যার কারণে পণ্যের জোগানে কিছুটা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। পাইকারি মোকামেই বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে।
লাগামহীন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের মোকামে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। পেঁয়াজ আমদানির তেমন কোনও প্রভাব নেই ঢাকার বাজারে। পাইকাররা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আনায় তেমন লাভ হচ্ছে না। তাই অনেকেরই আমদানিতে আগ্রহ নেই।
ক্রেতারা বলছেন, দিন দিন বাজার নিয়ন্ত্রহীন পড়ছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য হচ্ছে না। নিয়মিত বাজার তদারকি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
এদিকে, আলুর চড়া দামে নাকাল ক্রেতারা। মানভেদে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।
পাশাপাশি কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা।বাজারের বিক্রেতারা জানান, মোকামে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনছি, সেভাবেই বিক্রি করছি।
তারা আরও জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি।

এদিকে, গত সপ্তাহ থেকে সবজির বাজারে যে অস্থিতিশীলতা, সেটা এখনো কাটেনি বরং সব ধরনের সবজির দাম আরও বেড়েছে। দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
শুক্রবারও রাতভর একটানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। সকালে ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল কম। নিচু এলাকার বাজারগুলোয় পানি জমেছে। অনেকে বাজারে এসে পড়েছেন ভোগান্তিতে।
সকালে ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি ১০০-১২০ টাকা, করলা ১২০-১৪০, কচুরমুখি ১২০-১৬০ টাকা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও বেগুন ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমের মধ্যে রয়েছে শুধু পটল ও পেঁপে, যা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে আজ ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কমেনি। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।
একই ভাবে আকারভেদে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত তেলাপিয়া, পাঙাশ ও চাষের কই মাছ বেশি কেনেন। মাঝারি আকারের এসব মাছের কেজিও ২৫০ টাকার আশপাশে।