স্টাফ রিপোর্টার-
মানবিক সহায়তার ছদ্মবেশে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রকৃত সেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট-৩১৫ বাংলাদেশের ৩৭তম বার্ষিক কনভেনশনে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য সহায়তার অপব্যবহারের কথা তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজকাল কিছু ভুয়া সংগঠন মানবিক সেবার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং এটাকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’
সরকারের উন্নয়ন উদ্যোগে লায়ন্স ক্লাবের সদস্যদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপও করেন তিনি বলেন, ‘বেসরকারি সেবা সংস্থা হিসেবে লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্নীতি দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আরও অবদান রাখতে পারে।’
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী সমাজকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লায়ন্স ক্লাবের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা (লায়ন্স) গরিব ও অসহায়দের সহায়তা করতে পারেন, দুস্থদের পুনর্বাসন করতে পারেন, শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করতে পারেন, মানুষকে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ অভিযান ও অন্যান্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।’
লায়ন্স ক্লাবকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে স্বীকার করেন রাষ্ট্রপতি। ৪৯ হাজার ক্লাবের মাধ্যমে প্রায় ১৪ লাখ সদস্য মানবতার সেবা করছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অর্থনীতি, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
‘মানবতার সেবা, সমাজ বাঁচাও’ স্লোগানে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাতটি জেলা লায়ন্স ক্লাবের প্রচেষ্টার কথাও তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং জনগণ প্রতিনিয়ত আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উপকৃত হচ্ছে।’
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে মানবকল্যাণে নিবেদিত উদার মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে।’