1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রবাসীদের ভোটিংয়ের জন্য একটি কার্যকরী উপায় খুঁজছে কমিশন- সিইসি বাটা-কেএফসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে গ্রেফতার ৪৯ কক্সবাজারে জমিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩ দু’দেশের সরকারি সফরে গেলেন সেনাপ্রধান সাভারে কলেজ ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, আটক ২ রাজধানীর বায়ুর মান উন্নয়নে একটি কমিটি গঠন করা হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠকের আহ্বান সাভারে কর্মরত সাংবাদিক সোহেল রানার নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সত্যতা পায়নি পিবিআই পাহাড়ের প্রধান সমস্যা চাঁদাবাজি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ইসির

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
  • ১২৩

স্টাফ রিপোর্টার-

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবৈধ প্রভাব বিস্তার না করতে সংসদ সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যে-ই হোন না কেন, অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান জানিয়ে তিনি বলেন, কে কার আত্মীয়; মন্ত্রী, এমপিদের কোনও প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোনও প্রার্থী যে-ই হোন না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনও প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানেন বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। বিষয়টি স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই, সেটা ওখানে থাকবে। চিঠি সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারেন, কিন্তু কোনও অবৈধ প্রভাব বিস্তাব করতে পারবেন না।

মাঠ ঘুরে আসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো, উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলায় কোনও থ্রেড নেই, সমস্যা নেই। গোয়েন্দা প্রতিবেদনও কোনও থ্রেড নেই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ আসে, এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যেকোনও প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু কারও প্রতি অভিযোগ এলে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবো। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশের জেলা বা উপজেলা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অভাব নেই। তবে কোনও প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে, রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অত নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদেরই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনও চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেসার দিলে সে যে-ই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনও প্রার্থী নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

ইসির বার্তা মন্ত্রী-এমপিরা না মানলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, মন্ত্রী-এমপিরা বিধি না মানলে দেখতে হবে কোন বিধি ভঙ্গ করলেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছি না। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে ফোনে বলেছি। তারাও অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে পারছে না। কেননা, কিছু বিধি খুব সূক্ষ্ম। যেমন একজন মন্ত্রী মসজিদে নামাজ পড়তে গেছেন, সেখানে প্রার্থীও গেছেন। আর এটাই অনেকে বলছেন প্রচার চালিয়েছেন, এমন আরকি।

তিনি বলেন, কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও এমন কোনও অভিযোগ আসেনি যে মন্ত্রী মঞ্চে গেছেন, পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।

এই কমিশনার আরও বলেন, সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির কথা কোনোটাই বলছি না। যিনি আসতে চান, তার জন্য দুয়ার খোলা। এজন্য আমরা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দিয়েছি। এটা এ জন্যই করা হয়েছে যেন কেউ কাউকে বাধা দিতে না পারে। আর নিজেরা যদি মারামারি করেন, তাহলে তো প্রশাসন বদলি নেওয়ার কিছু নেই। প্রশাসনের কেউ যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে মনে হয়, আমরা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আরও করে দেওয়া হবে। এখন যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, তাহলে বদলি করে দেওয়া হবে।

যেহেতু দলীয় ও স্বতন্ত্র দুভাবে নির্বাচন করার আছে। এ ক্ষেত্রে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, দল সবার জন্য ওপেন করে দিতে পারে, আবার কোনও প্রার্থীকে কোনও দল অফিসিয়ালি পারে না। তবে দলীয়ভাবে পারে না। জোর করতে পারবে না। শক্তি প্রয়োগ করে হুমকি দিয়ে পারবে না। প্রকাশ্যে হুমকি দিলে সেটা হুমকি। কিন্তু তারা যদি দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়, সেই অধিকার তো তাদের আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪