ডেস্ক রিপোর্ট-
আগামী দুই মাসের মধ্যে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া শুনানিতে সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি শেষে ১০ শতাংশের বেশি সম্পদ বাড়লে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, এমন আইন প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের আহ্বানও জানান আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে এ বিষয়ে আদালত কোনো রুল জারি করেননি।
শুনানির শুরুতে রিটকারীর আইনজীবী বেনজীরের সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে বলেন, দুদক অনুসন্ধানের কথা জানালেও তারা ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে যাতে এটি না হয়, তাই আদালতের পর্যবেক্ষণ থাকা দরকার।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার বলেন, এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে, দেশে দুর্নীতি কমবে না। তাই এক্ষেত্রে আদালতের নজরদারি প্রয়োজন।
এদিকে সাবেক আইজিপি বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়ায় এই রিট কার্যকারিতা হারিয়েছে। তাছাড়া তদন্তের ক্ষেত্রে আদালতের সুপারভিশন থাকলে তদন্তকারীরা চাপ অনুভব করবেন।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, গত ১৮ এপ্রিল দুদকের কমিশন সভা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তে সিদ্ধহস্ত দুদক। মানি লন্ডারিং, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে তদন্তের কথা দুদকের অফিস রিপোর্টে বলা আছে।
ডেপুটি আটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলতে পারে।