স্টাফ রিপোর্টার- র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন চৌকষ অফিসার। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বিগত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন এবং বিগত ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাব-
১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র্যাবের আভিযানিক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদক বিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম র্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে র্যাব-১৩ প্রথম বারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায়
এ্যাডমিনিসট্রেটিভ এ্যাওায়ার্ড ফর এক্সিলেন্সি
(ADMINISTRATIVE AWARD FOR EXCELL-ENCE) শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
তিনি ইতোপূর্বে ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাব-৪ ও র্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন (UNIFIL) এবং সাউথ সুদানে (UNMISS) এ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌ বাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌ প্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি নেভিগেশন এন্ড ডাইরেকশন (Navigation and direction) এর উপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় (Meteorology) উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Masters of Business Administration (MBA) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও ষ্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকষ অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।