1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

মুক্তিপণ নেয়া ৮ সোমালীয়ান জলদস্যু গ্রেপ্তার

  • সময় : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮০

স্টাফ রিপোর্টার-

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক জিম্মির ঘটনায় মুক্তিপণ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ৮ সোমালিয়ান জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্ব ফেডারেল রাজ্য পান্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের জন্য আগেই ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিল। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত তিন মাস ধরে জলদস্যুদের ধরার জন্য বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও উপকূলরক্ষীরা। একাধিক সূত্র অনুসারে জলদস্যুরা আল শাবাব জঙ্গিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল।

পান্টল্যান্ড পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করা জলদস্যু দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযানে জলদস্যুদের দেওয়া মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।

পরে দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঈদের আগেই জাহাজটির মালিকপক্ষ নানা পর্যায়ে দরকষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আভাস দিয়েছিল।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল- পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করা যায়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। জলদস্যুরা কিছু একটা পাওয়ার জন্য জিম্মি করেছে নাবিকদের। কিন্তু তাদের কত টাকা দিতে হবে এটা বলা যাচ্ছে না।

মুক্তিপণ পাওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা। মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।

পান্টল্যান্ড পোস্টের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ আদায়ের পর দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে। জলদস্যুরা তীরে অবতরণের সময় সেখানে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন।

সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি সোমালিয়া অনলাইনের এক্স বার্তায় বলা হয়, পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। আরেকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড মিররের এক্স বার্তায় স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পাঁচ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ নেওয়ার পর জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে।

এরআগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪