ডেস্ক রিপোর্ট-
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র কেএনএফের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে। এদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্ঠা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্ঠা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ’র আশেপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামূখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।’
Pause
Unmute
Remaining Time -8:16
Close PlayerUnibots.com
একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারাই তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’
‘ঈদকে সামনে রেখে বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর’, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।