1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

অ্যাপস ও বিকাশের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার হুন্ডি! গ্রেফতার ৪

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৪

স্টাফ রিপোর্টার-

‘জেট রোবোটিক’ একটি অ্যাপসের অ্যাডমিন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাইতে আছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বসে নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন তিনি। গত তিন থেকে সাড়ে ৩ মাসে তিনি ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন জেট রোবোটিক অ্যাপের মাধ্যমে।

তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি বিকাশ এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি।

জেট রোবোটিক অ্যাপসের ব্যবহারকারী ও মূলহোতা মামুনের দুই সহযোগীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সার্বক্ষণিক অনলাইন মনিটরিংয়ের সময় মাসখানেক আগে এ অ্যাপস ও বিকাশ এজেন্ট সিমে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য জানতে পারে সিআইডি। এরপর বুধবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাতে চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এ ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রমে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেফতাররা হলেন- তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসের মালিক নাসিম আহমেদ (৬২), এজেন্ট সিমের টেরিটোরি সেলস ম্যানেজার ফজলে রাব্বি সুমন (৩২) ও মো. কামরুজ্জামান (৩৩) এবং জেট রোবোটিক অ্যাপসের বাংলাদেশের প্রতিনিধি জহির উদ্দিন (৩৭) এবং খায়রুল ইসলাম ওরফে পিয়াস (৩৪)।

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬টি মোবাইল, ১৮টি সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ, ৬টি মডেম ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা।

সিআইডি বলছে, এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ কার্যক্রম থেকে বিকাশ কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না। কারণ যেসব সিম ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো বিকাশ এজেন্ট সিম। তাছাড়া অস্বাভাবিক লেনদেন হলে সেটা দেখার দায় বিকাশেরই।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, গত তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা বাংলাদেশে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে। অভিনব কৌশলে এ অ্যাপস ব্যবহারকারী পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। ডিভাইসগুলো জব্দ করেছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটস। প্রতিষ্ঠানটির কাছে রয়েছে এক হাজার ১০০ বিকাশ এজেন্ট সিম। এসব এজেন্ট সিমের তাদের পারফর্ম ভালো না সেসব এজেন্টের সিমগুলো ডিএসওরা নিয়ে জেট রোবোটিক অ্যাপস ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করে।

এজেন্ট সিম নেওয়ার পর বিকাশ থেকে ই-মানি এজেন্ট সিমে আনা হয়। এ এজেন্ট সিমের কয়েকটি ভাড়া নেয় এ রোবোটিক অ্যাপস। হুন্ডি চক্রটির মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। দুবাই বসে মামুন যখন অ্যাপসের মাধ্যমে এজেন্ট সিমের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়। সে তখন বিকাশের মাধ্যমে রুট পর্যায়ে চাহিদা অনুযায়ী পাঠাতে পারে। তখন আর বাংলাদেশে বিকাশের এজেন্টদের প্রয়োজন হয় না। কারণ বিকাশের এজেন্ট সিমগুলো গ্রহণ করে থাকে শুধু ই-মানি ট্রান্সজেকশনের জন্য।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, শুধু এ জেট রোবোটিক অ্যাপসই নয়, এরকম বেশকিছু অ্যাপস বাংলাদেশে চলমান। আমরা বেশকিছু এমন অ্যাপসের সন্ধান পেয়েছি। এরই মধ্যে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাতে এ কার্যকম চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪