স্টাফ রিপোর্টার-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেন “মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই সব থেকে বড়”। একটি মেয়ে যদি নিজে আয় করে, দশটি টাকাও যদি সে আয় করে সংসারে ফেরে তবে সেই সংসারে তার একটা অবস্থান থাকে, মতামত থাকে। অর্থাৎ নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা সৃষ্টি করতে হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।’
শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা মেয়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এগিয়ে নিতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের আলাদা কর্মসংস্থানও করে দিচ্ছি। বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আইন করে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
নারী ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রশাসনে উচ্চ পর্যায়ে নারীদের পদায়ন করতে আলাদা ফিট লিস্ট করতে বলি। অনেককে রাষ্ট্রপতির কোটায়ও নিয়োগ দিয়েছি। এখন প্রশাসন ও বিচার অঙ্গনের উচ্চ পর্যায়ে নারীরা কাজ করছে। এসপি পদে নিয়োগ দিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি, বলেছে নারীরা এসপি হবে কীভাবে? সেটাও করেছি। প্রথমে মুন্সিগঞ্জে নারী এসপি দিয়েছি। সফল হয়েছে। নারীদের সুযোগ দিলে তারা সবই পারে। সুযোগ দিতে হয়। সুযোগ না দিলে হয় না। আমার মাকে আমরা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় কীভাবে কাজ করেছেন। সামনে আসেননি, এমনকি গোয়েন্দারাও ধরতে পারেনি, আমার মা সবচেয়ে বড় গেরিলা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভারেস্টেও আমাদের মেয়েরা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দিয়ে আসছে। খেলাধুলাতেও পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। আমরা সুযোগ করে দিয়েছি, তারা তাদের দক্ষতা দেখাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারীদের জন্য প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরআগে জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ সংগ্রামী নারীকে জয়িতা পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে তিনি সম্মাননা পদক, এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
