স্পোর্টস ডেস্ক-
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদ জল্পনার মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে আবার বিয়ে করলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিক। শোয়েবের নতুন স্ত্রীর নাম সানা জাভেদ। তিনি পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
তবে শোয়েবের তৃতীয় বিয়ে হলেও এটি সানার দ্বিতীয় বিয়ে। ২০২০ সালের অক্টোবরে পাক গায়ক উমায়ের জসওয়ালকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। করাচিতে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনাড়ম্বরপূর্ণ সেই বিয়ের আসর বসেছিল।
১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় সানার জন্ম। তার মা-বাবা দুজনেই পাকিস্তানি। এক সময় সানাদের পৈতৃক বাড়ি ছিল ভারতের হায়দারাবাদে। তবে পরে তারা পাকিস্তানে চলে যান। শোয়েবের দ্বিতীয় স্ত্রী সানিয়ার বাড়িও হায়দারাবাদে।
সানা পড়াশোনা করেন জেদ্দার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। স্কুলের গণ্ডি পার করে পরিবারের সঙ্গে জেদ্দা ছেড়ে করাচিতে চলে আসেন তিনি। ভর্তি হন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
খুব কম বয়স থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সানা। ১৭-১৮ বছর বয়সে মডেল হিসেবেও নাম করেছিলেন। ২০১২ সালে পাক ধারাবাহিক ‘শেহর-ই-জাত’-এর মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা দেন সানা। এর পর আরও বেশ কয়েকটি উর্দু ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। তবে নজর কাড়েন ২০১৭ সালে ‘খানি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে।‘খানি’তে অভিনয় করার সুবাদে বেশ কয়েকটি পুরস্কারও জিতেছিলেন সানা। উর্দু ধারাবাহিক ‘রুসওয়াই’ এবং ‘ডাঙ্ক’-এ অভিনয় করার পর তার পরিচিতি আরও বাড়ে। এখন পর্যন্ত সানা মোট ২৫টি ধারাবাহিক, চারটি টেলিফিল্ম এবং চারটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন।
২০২৩ সালে উমায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সানার। এর পরেই একে অপরকে মন দিয়ে ফেলেন শোয়েব-সানা। সানার জন্মদিনেও তার সঙ্গে ছবি দেন শোয়েব। সেই ছবিতে তিনি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু সানা।’ এর পরেই ক্রিকেটার এবং অভিনেত্রীকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে।
সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শোয়েব যে সানাকে বিয়ে করতে পারেন, তা নিয়ে চাপা গুঞ্জন ছিলই। তার মধ্যেই শনিবার চার এক হাত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল। সানিয়ার আগে আয়েশা সিদ্দিকিকে বিয়ে করেছিলেন শোয়েব। ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
পরে সানিয়াকে বিয়ে করেন শোয়েব। তাদের আলাপ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। শোয়েব গিয়েছিলেন পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলতে। আর সানিয়া সেই সময় ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনালে খেলতে গিয়েছিলেন। ব্রিসবেনেই পরিচয় হয় তাদের। শোয়েব-সানিয়ার সেই আলাপ পরে প্রণয়ে পরিণত হয়।