‘আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন বলেই আমি আবারও আপনাদের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। এই বিশ্বাসের মূল্য দিতে চাই। নড়াইল ও লোহাগড়ার লোকজন আমাকে ভালোবেসে যেভাবে গ্রহণ করে ভোট দিয়েছেন, আমি এর প্রতিদান দিতে পিছপা হবো না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের বাসায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করতে আসা লোকজনকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রিয় মানুষটিকে শুভেচ্ছা জানাতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জনতার ভালোবাসায় সিক্ত মাশরাফি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সবার উদ্দেশে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে, সুস্থ থাকলে আপনাদের যেকোনও সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। বিগত দিনগুলোতে যেভাবে এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীতেও সেভাবে থাকার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের এই জনপদের সন্তান হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে চাই।’ এ সময় বাসায় আসা মুরুব্বি ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বুকে টেনে নেন মাশরাফি। মাশরাফির শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে অনেকে আনন্দে কেঁদে ফেলেন।
সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সন্ধ্যায় নড়াইলের বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে বাসার সামনে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। লোকজন কোনোভাবেই প্রিয় নেতাকে বিদায় দিতে চাচ্ছিলেন না। মানুষের ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠার আগে সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানান তিনি।
পরে লোহাগড়ার আলামুন্সির মোড়ে গিয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে লোকজনের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এখানে তাকে স্বাগত জানান লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে তিনি নড়াইল শহরের চৌরাস্তা, রুপগঞ্জের মুচিরপোল, স্বর্ণপট্টি, বাঁধাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট।