সাকিব আসলাম
ঢাকার আশুলিয়ায় জোরপূর্বক অন্যের জমিতে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অন্যের জমিতে নিজের লোকজনকে সাথে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার এই নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এঘটনায় (১৫ই ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ মোট ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তি।
স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ওই সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কপি বাংলাদেশ বুলেটিন ডটকমের হাতে এসেছে।
সাধারণ ডায়েরিতে মোঃ সাইফুল ইসলাম ছাড়া অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর পূর্ব পাড়ার মৃত ছফুর মন্ডলের ছেলে মোঃ হাসান মন্ডল (৩৮), একই এলাকার মোঃ মোতালেবের ছেলে মোঃ আশরাফ হোসেন (৩৯) ও মোঃ আব্দুল হকের ছেলে জসিম (৩২)।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে বিবাদীগণ আশুলিয়া থানাধীন পূর্ব ডেন্ডাবরে ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদের বাড়ীর সামনে একটি ফাকা জায়গায় নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মানের চেষ্টা করে। তার জায়গায় নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণ করতে বিবাদীগণকে নিষেধ করেন আব্দুস সামাদ। নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মান করতে নিষেধ করায় বিবাদীগন আব্দুস সামাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণ নাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদান করে।
আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ মুঠোফোনে বলেন, “যেহেতু আমার চাচাতো ভাই মুরাদ জং (তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ) এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাই আমি আমার বাড়ির সামনের খালি জমিতে বালু ভরাট করে সমান করে রেখেছিলাম মুরাদ ভাইয়ের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের জন্য।
“পরে গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে এসে হুমকি ধমকি দিয়ে রাতেই বাশ-খুটি এনে জোরপূর্বক আমার জমিতে তার নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করে। পরে আজ আমি আশুলিয়া থানায় এবিষয়ে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করি”, যোগ করেন সামাদ।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে কোন প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন আচরণবিধির লঙ্ঘন হওয়ায় বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট, যিনি আচরণবিধির বিষয়গুলো দেখছেন, তাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করলে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ জানান, থানার জিডি দায়ের হলে সেটি আমাদের হাতে এসে পৌছাতে কিছুটা সময় লাগে। আমি এখনো এই জিডির কোন কপি হাতে পাইনি, কাজেই এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। জিডির কপি পেলে হয়তো এবিষয়ে বলতে পারবো।
বা বু ম/ এস আর