নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আটটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট’। তবে জোটের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে জটিলতা থাকলেও ইতিমধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা। প্রয়োজনে যেকোনো মার্কায় নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানান তাঁরা।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জোটের নেতারা।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বে জোটে থাকা অন্য দলগুলো হলো ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম ও বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাড. খায়রুল আহসান বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে আমরা সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’
বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, দেশকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার স্বার্থে আমাদের সবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা জরুরি। বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে আপনারা নির্বাচনী ট্রেন মিস করবেন। মনে রাখতে হবে, নির্বাচনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন তালিকায় সে সকল দলের সংযুক্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখতে হবে।’
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ১০ দিন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট ২০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন যদি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ১০ দিন বৃদ্ধি করে তাহলে আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারব।’
সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট কোন মার্কায় নির্বাচন করবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনো মার্কা নির্ধারণ করিনি। কোন মার্কায় আমরা নির্বাচন করব, সেটি পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নিবন্ধিত দল। দলের মার্কা (বটগাছ) নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমরা মার্কাটি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এই মার্কা না পেলে যেকোনো মার্কায় নির্বাচন করব।’
সকল ইসলামী দলের জন্য জোটের দরজা উন্মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলামী আরও কোনো দল যদি আমাদের সঙ্গে জোট করতে চায় তাঁদের স্বাগতম।
বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আতিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়ামিন হোসাইন আজমী, বাংলাদেশ মুসলিম জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।