ডেস্ক রিপোর্ট-
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বা সংঘাত হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের। এর প্রভাব পড়ে এবং দামে একটা বড় পরিবর্তন দেখা যায়। তবে, জ্বালানির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘স্মার্ট গ্রিড রোডম্যাপ বাংলাদেশ ফেজ-২’ শীৰ্ষক সমীক্ষা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট গ্রিড এক্সপিরিয়েন্স ডে’র উদ্বোধন শেষে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জ্বালানির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে। আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের তেল, গ্যাসের বড় একটি অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সেই বিষয়গুলো এখনো আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। এখনো আমরা বলতে পারি না যে এটা খুব বেশি খারাপের দিকে গেছে। এজন্য এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তবে এটা চিন্তার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন যেদিকে যাচ্ছে তাতে বলা যাচ্ছে না বিশ্ব কোনো দিকে যাবে। সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে স্মার্ট গ্রিড কীভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা যায়, কোন কোন জায়গাতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে সেজন্য তথ্য বিশ্লেষণ করছি। আমরা চাচ্ছি, যে ভবিষ্যতে এক মিনিটের জন্যও যেন বিদ্যুৎ না যায়। সেই জায়গাগুলোতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা আট হাজার মেগাওয়াট সোলার নিয়ে কাজ করছি। এখন এর থেকে যদি অর্ধেকও আসে তাহলে এ সিস্টেমের জন্য বিরাট কিছু।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে কার্যকর হবে, হয়তো নির্বাচনের পরে হতে পারে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের কাজ চলছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারার আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি শাখা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় স্মার্ট গ্রিড অভিজ্ঞতার আয়োজন করে। ইভেন্টটি একটি সহযোগী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। এতে ৪০ জনেরও বেশি সিনিয়র ইউটিলিটি এক্সিকিউটিভ, একাধিক গ্লোবাল স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তির প্রতিনিধি যোগ দেয়।
ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (ইউএসটিডিএ) অর্থায়নে কাজটি করছে দ্য বোস্টন কনসালটেন্ট গ্রুপ (বিসিজি)। আগামী ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেবে বিসিজি।