ডেস্ক নিউজঃ
ঢাকা থেকে প্রথমবার পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন। এর আগে এই পথে বেশ কয়েকবার ট্রেন চললেও, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পুরো রেলপথে এটাই প্রথম যাত্রা। পদ্মার দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে এই যাত্রাকে স্বাগত জানায় উচ্ছ্বসিত মানুষ। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ৫টি বগি নিয়ে কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা পর্যন্ত এই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন রেলমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ই অক্টোবর এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হবে।
স্বপ্নের মতো মনে হলেও, এটিই এখন বাস্তব চিত্র। স্বপ্ন ধীরে ধীরে ডানা মেলে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলছে ট্রেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বছর পেরোলেও বাকী ছিলো ট্রেন চলাচল। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বড় পদক্ষেপ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙা জংশন স্টেশনে পৌঁছায় পরীক্ষামূলক ট্রেন। দীর্ঘ সাড়ে ৮১ কিলোমিটার এই পথ পাড়ি দেয়ার মাধ্যমে পূর্ণতা পেলো পদ্মা সেতু। যদিও গত এপিলে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ভাঙা থেকে পদ্মা পার হয়ে মাওয়া যায় পরীক্ষামূলক ট্রেন। তবে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেলযাত্রা এই প্রথম। পদ্মার দুই পাড়ের বাসিন্দারাও এই যাত্রা স্বাগত জানিয়েছে উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে।
এই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ভাঙ্গায় পৌঁছে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই সাফল্য দেশের সক্ষমতার প্রতীক।
এবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চললেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার প্রকল্প হলেও শুরুতে কমলাপুর থেকে ভাঙা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এ লক্ষ্যে যাত্রীসেবার আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ করে আগামী মাসে পদ্মা পাড়ি দেবে নিয়মিত ট্রেন।
সেতুর ওপর যান চলাচল শুরু হয়েছে গত বছর, এবার সেতুর নিচতলা দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর পালা।