বাংলাদেশে অব্যাহত করোনার মৃত্যুমিছিল। প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও লাগাম টানা যাচ্ছেনা মৃত্যুর সংখ্যা। বিগত চব্বিশ ঘণ্টায় কোভিড–১৯ জীবাণুর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫জন। ফলে এবার মৃতের সংখ্যা তিনশো’র গণ্ডি পার করল। বাংলাদেশে করোনাআক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৫ জন। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহয়েছে রূপালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের শহিদুল ইসলাম রিপনের (৫০)। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাজধানীয় কুয়েত মৈত্রীহাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বেসরকারি সিটিব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের এফভিপি মুজতবা শাহরিয়ার মুগদা জেনারেল হাসপাতালেচিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া দুজন চিকিৎসক ও তিনজন সাংবাদিক মারাগিয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু সরকারি হিসেবের বাইরে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদেরঅভিমত, সবকিছু জেনেশুনেও সামাজিক দূরত্বেরও বিষয়টিতে আমল দিচ্ছেন নাঅনেকেই। রাস্তা–ঘাটে পাড়ায় জড়ো হয়ে সমানে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। আরবাজারগুলি উন্মুক্তস্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। ফলেরসংক্রমণের আশঙ্কা ক্রমে বেড়েই চলে চলেছে। উল্লেখ্য, ইদ উপলক্ষে গত ১০ মে থেকেবাংলাদেশে দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়েছে। মসজিদে নমাজ পড়ারঅনুমতীও দেওয়া হয়েছে। ফলে জমায়েত যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। এহেন পরিস্থিতিতেকরোনা সংক্রমনে লাগান টানা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছে
সংশ্লিষ্ঠ মহল। এছাড়া, দীর্ঘ দু’মাসেরও বেশি সময় রোহিঙ্গাদের করোনামুক্ত রাখা গেলেওগত বৃহস্পতিবার সেখানে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজেরল্যাবে বৃহস্পতিবার ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাতে পজিটিভ আসা ১২ জনেরমধ্যে দুজন রোহিঙ্গাও রয়েছে। তারা দুজনেই পুরুষ ও রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা। একজন উখিয়ারলম্বাশিয়া এলাকার একনম্বর পশ্চিম ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাকে আইওএমের দু’নম্বরক্যাম্পের পশ্চিম ব্লকে আইসোলেশন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।অপরজন, কুতুপালং(কপিপি)-এর শরণার্থী। তাকে এমএসএফের ওসিআই আইসোলেশনহাসপাতাল নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।