নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের সুশীল সমাজের বিশাল অংশ আজ মানবতার কথা বলে। বিভিন্ন দেশ এসে যখন মানবাধিকারের কথা বলে তখন তারা সঙ্গ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা, ২০১৩-১৪ সালে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও পঙ্গু করে দেওয়া হলো তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল ?
রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজও আমরা যখন কোনো নতুন উদ্যোগ নিতে গেলে দেখি, স্বাধীনতার পরে মাত্র তিন বছর সময়ে বঙ্গবন্ধু সেটা করেছেন। সারাজীবনে বঙ্গবন্ধু কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি। ধাপে ধাপে সবকিছু করেছেন। পুরো দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথরেখা তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র আজও চলছে। তার বড় প্রমাণ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পিলখানায় বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হলো। সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রের জাল কেটে আমাদের এগোতে হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন যুদ্ধের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত এবং ধরন বদলেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার জগতে চারিদিকে যুদ্ধ। আমাদের সেই যুদ্ধ করতে হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, আজ মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করেননি। আমরা এতটাও ভোলা নই, ৭১ ভুলে যাইনি। ৯১ এর পরে ২০০১ এর পরে কী হয়েছিল, তা ভুলে যাইনি। আজ আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষড়যন্ত্র আজও চলছে, একই লোকদের দিয়েই চলছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সজাগ থাকতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪.কমের ডিরেক্টর (মিডিয়া) মো. আফিজুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
বা বু ম / অ জি