নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ফাহমিদা আক্তার তারিন (২৪) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ জুলাই) রাতে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুজনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, ফাহমিদা আক্তার তারিনের স্বামী আরকাদুল ইসলাম ওরফে রুবেল (৩৮) ও দেবর মো. আরাফাত (৩৩)।
গ্রেপ্তার দুজনই ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নুর আলী মিয়ার হাট এলাকার বাসিন্দা পেশকার শফির ছেলে এবং ভুক্তভোগী ফাহমিদা আক্তার ফটিকছড়ি নাজিরহাট পৌরসভার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গতকাল (বুধবার) শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূ ফাহমিদার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফাহমিদার ভাই মো. শাহেদ আলম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দুজনের পাশাপাশি গৃহবধূর শাশুড়ি রুমি আক্তারকেও (৬০) আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ফাহমিদার সঙ্গে আরকাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আফরা চৌধুরী আয়না নামে ৩ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু রয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফাহমিদাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। এনিয়ে একবার ফাহমিদাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে উভয়পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যস্থতায় ফাহমিদাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে এসবের পরও ফাহমিদার ওপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন থামেনি। অত্যাচার সইতে না পেরে একপর্যায়ে বুধবার ফাহমিদা আত্মহত্যা করে।
হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি তদন্ত চলমান রয়েছে।
বা বু ম / অ জি