চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক প্রবাসীর ঘুমন্ত স্ত্রী ও পুত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের ঘরে পাওয়া কালো রঙের একটি টুপির সূত্র ধরে অপরাধীকে শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পৈতৃক জায়গা-সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ার পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে ঘুমন্ত চাচি আয়েশা আক্তার নিপা ও তার আট বছর বয়সী শিশুপুত্র আলী আহসান মুজাহিদকে পিটিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করেছে এক কিশোর। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পাঁচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়া শেষে আটককৃত কিশোরের সামনে তার মা কান্নাকাটি করতেন।
এতে তার মনে ক্ষোভ কাজ করত। সেই ক্ষোভ থেকে চাচি ও চাচাতো ভাইকে হত্যা করে ওই কিশোর।
গ্রেপ্তার ওই কিশোর স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ঈদের ছুটি থাকায় সে বাড়িতে ছিল।মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সে নিরুদ্দেশ ছিল।
ওসি বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে বিছানায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। লাশের পাশে রক্তমাখা লাকড়ির তিনটি টুকরা ও ঘরের সিঁড়িতে একটি টুপি পাওয়া যায়। এ সময় ওই কিশোরের বড় ভাই আমাদের জানান, তার ভাইকে সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখনই সন্দেহ হয়, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে ওই মাদরাসাছাত্র জড়িত থাকতে পারে।মাদরাসায় খবর নেওয়া হলে শিক্ষকরা ভোরে জানান, ওই ছাত্র মাদরাসায় ঘুমাচ্ছে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। ওই কিশোর বলেছে, ‘ঝগড়ার পর মা আমাদের সামনে কান্নাকাটি করত। বিষয়টি আমার সহ্য হতো না।’
চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের এএসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি এক কিশোরসহ তার বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
বা বু ম / অ জি