নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বাসার গার্ড আবদুস সাত্তার মোল্লা।
সোমবার (২৬ জুন) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। একই দিন তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ১১ জুন আলোচিত এই মামলায় একই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন গায়ত্রীর গৃহপরিচারিকা পম্পি বড়ুয়া ও বাবুল আক্তারের গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা বেগম।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ বলেন, বাবুল আক্তারের বাসার গার্ড আবদুস সাত্তার মোল্লা সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীতে তিনি বাবুল আক্তারের বাসায় কার কার যাতায়াত ছিল এসব উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ঘটনায় দিন হত্যাকাণ্ডের পর মিতুকে কীভাবে উদ্ধার করা হয়েছে সেটির বর্ণনা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন তিনি।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
বা বু ম / অ জি