ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা, দুই মেয়ে, চার নাতি-নতনিসহ সাতজনের মৃতদেহ আপত্তি না থাকায় বিনাময়নাতদন্তে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহগুলো স্বজনদের হাতে তুলে দেয় ফরিদপুর কোতোয়ারি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল ফরুক রানা।
মৃত কমলার দেবর জাকির খান (৩৭) কমলা, হাসিব, আরিফ ও হাফসার মৃতদেহ বুঝে নেন। মৃত বিউটির ননদ জামাতা মো. আবুল হাসান (৩৮) বিউটি ও তার ছেলে মেহেদীর মৃতদেহ বুঝে নেন। মৃত তাসলিমার মৃতদেহ বুঝে নেন তার চাচা শ্বশুর আব্দুল হামিদ শেখ (৭১) ।
মৃত কমলার দেবর জাকির খান জানান, মৃতদেহগুলো বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামে নিয়ে যাওযা হবে। পরে পরিবারিক সিন্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মৃত আরিফ-হাসিব-হাফসার ফুফু শামীমা ইয়াসমিন মৃতদেহ নিতে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে এসেছিলেন। তিনি মুঠোফোনে মৃত আরিফের আগের ছবি দেখে কান্না করছিলেন। তবে গলা থেকে কোনো স্বর বের হচ্ছিল না। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের তেমন উত্তরও তিনি দিতে পারেননি। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে আর তেমন কোনো স্বজনের দেখা মেলেনি।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, বিআরটি’এর প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ।
বা বু ম / অ জি