1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

চনপাড়ায় আবার গুলি, দুই যুবক আহত

  • সময় : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ৭২

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আবারও গুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা দুইটায় পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর গলির অফিস ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই চনপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন চনপাড়ার ৪ নম্বর গলির মৃত বাদল মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়া (২০) ও ৬ নম্বর গলির আজহার মোল্লার ছেলে মো. মাসুম (২২)। আহত দুজন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের অনুসারী। চনপাড়া ওই ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকা। ভুক্তভোগীদের দাবি, তাঁদের গুলি করেছেন নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য শমসের আলীর অনুসারী ৪ নম্বর গলির বাসিন্দা মো. রায়হান।

বাবলু ও মাসুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, মাসুমের কোমর ও বাবলুর পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আজ বেলা দুইটার দিকে বাবলু, মাসুমসহ চার বন্ধু চনপাড়ার অফিস ঘাট এলাকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় রায়হান ১০–১৩ জন অনুসারী নিয়ে সেখানে আসেন। তাঁরা বাবলু ও মাসুমকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। বাবলু বলেন, ‘আমরা তখন চলে যাচ্ছিলাম। এ সময় রায়হানের বোনের ছেলে সাব্বির আমাকে পেছন থেকে আঘাত করে। ভয়ে আমরা তখন চারজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। এ সময় রায়হান আমাদের উদ্দেশ্য করে গুলি করে।’

গুলির কারণ জানতে চাইলে বাবলু বলেন, ‘গত নির্বাচনে (কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড উপনির্বাচন) আমরা জয়নাল ভাইয়ের (জয়নাল আবেদীন) সঙ্গে কাজ করেছি। রায়হান ছিল শমসের আলীর অনুসারী। নির্বাচনের আগেই তারা হুমকি দিচ্ছিল যে তাঁরা জিততে পারলে আমাদের এলাকায় থাকতে দেবে না। নির্বাচনের বিরোধ নিয়েই আমাদের গুলি করেছে।’

জয়নাল আবেদীনও গুলিবিদ্ধ মাসুম ও বাবলুকে নিজের অনুসারী হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার লোক বলেই তাঁদের গুলি করা হয়েছে।’ ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রায়হান ও তাঁর সহযোগীরা কোনো কথা না বলেই চার তরুণের পায়ে গুলি করেন। এর আগে সকালে রায়হান তাঁর সহযোগীদের নিয়ে শমসের আলীর বিজয় মিছিলে অংশ নেন। এ বিষয়ে রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

রূপগঞ্জ থানা–পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রায়হান এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যাকাণ্ডের পর ওই ঘটনায় রায়হানের নাম এলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরে অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছুদিন আগে রায়হান জামিনে বের হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। রায়হানের মাদক বেচাকেনার স্পটগুলো পুলিশ গুঁড়িয়ে দিলে তিনি শমসের আলীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।

পুলিশের ওই সূত্র আরও জানায়, নির্বাচনের আগে জয়নাল ও শমসের আলীর অনুসারীদের মধ্যে হওয়া তিনটি বড় সংঘর্ষে রায়হান শমসের আলীর পক্ষে অংশ নেন। নির্বাচনের আগে চনপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরু হলে রায়হান এলাকা ছেড়ে চলে যান। নির্বাচনের আগে আবার এলাকায় ফিরে শমসের আলীর পক্ষে নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেন। নির্বাচনে শমসের ইউপি সদস্য হিসেবে জয়ী হওয়ার পর থেকেই রায়হান আবার চনপাড়ায় থাকতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শমসের আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মোক্তার হোসেন নামের তাঁর এক অনুসারী ফোন ধরে বলেন, ‘মেম্বার সাহেব ব্যস্ত আছেন, যা বলার আমাকে বলেন।’ এ সময় তাঁর কাছে রায়হানের বিজয় মিছিলে অংশ নেওয়া ও নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর অনুসারীদের গুলি করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গুলির বিষয়টি জানি না। আমরা বিজয় মিছিল আয়োজন করেছি। সেখানে এতে মানুষের ভিড়ে রায়হান ছিল কি না, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। রায়হান চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল এবং ৯ ও ১০ মে শমসের আলী ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৩৫ জন আহত এবং চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। লুট হয়েছে সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি সংঘর্ষেই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এসব সংঘর্ষের জেরে ১ ও ১০ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ চনপাড়য় বড় দুটি অভিযান চালায়। অভিযানে অন্তত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার এবং মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪