1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

টেকনাফে অপহরণের ৫ দিন পর শিশু উদ্ধার, আটক ৪

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ১৯৮

টেকনাফ, কক্সবাজার সংবাদদাতা

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অপহরণের ৫ দিন পর খায়রুল আমিন (১২) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে টেকনাফের রঙ্গিখালী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে খায়রুলকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম।

উদ্ধার শিশু খায়রুল আমিন উপজেলার নাইক্ষ্যংখালী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা মো. ইউনুসের ছেলে। সে মৌলভীবাজার ইসলামিক আজিয়া ফয়জুল উলুম হিফজখানার শিক্ষার্থী।

আটক চারজন হলেন ইজিবাইকচালক মো. আলম (২৭), আহম্মদ হোসেন (৫২), মো. পারভেজ (২০) ও আজিজা খাতুন (২১)। তাঁদের সবাই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকার বাসিন্দা।

ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, গত শুক্রবার টেকনাফের মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ইউনুসের ১২ বছর বয়সী শিশু খায়রুল আমিন তার বন্ধু ফরহাদের সঙ্গে দেখা করতে হ্নীলা বাজার থেকে জনৈক আলমের ইজিবাইকে ওঠে। কিন্তু ইজিবাইকচালক আলম কৌশলে তাঁর অপর সহযোগীর গাড়িতে তুলে দেন খায়রুলকে। এরপর তাকে ইজিবাইকযোগে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাত বেঁধে পাহাড়ের ওপর তুলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন অপহরণকারীরা। তারপর ১৭ জুন রাতে অপহরণকারীরা খায়রুল আমিনের মায়ের মুঠোফোনে কল করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং নির্যাতনের শব্দ শোনান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান অপহৃত খায়রুলের স্বজনেরা। এরপর অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে পুলিশ দফায় দফায় পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। কিন্তু অপহরণকারীরা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন।

ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে রাতে ইজিবাইকচালক আলমকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, বুধবার দুপুরে রঙ্গিখালী পাহাড়ে পুনরায় অভিযান শুরু করলে পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে অপহরণকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে অপহৃত খায়রুলকে অক্ষত অবস্থায় করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইজিবাইকচালক আলম ছাড়াও আহম্মদ হোসেন, মো. পারভেজ ও আজিজা খাতুনকে আটক করা হয়। আর অন্য অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত ৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৩৮ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

বা বু ম / অ ‍জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪