1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাপাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম- আইজিপি শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা! ক্রেতা সেজে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে আইফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ১ কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া ছিনতাই হওয়া স্বদেশ আবার ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা- ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাটনায় মোদির বিরুদ্ধে কী ইঙ্গিত দিতে পারেন বিরোধীরা

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিজেপিবিরোধী রাজনীতি ভবিষ্যতে কতটা সংঘবদ্ধ হতে পারবে, তার ইঙ্গিত মিলবে বিহারের রাজধানী পাটনায়। আগামীকাল শুক্রবার সেখানেই হতে চলেছে দেশের অধিকাংশ প্রধান বিরোধী দলের সম্মেলন। বিজেপির বিরোধিতায় এসব দল কীভাবে জোটবদ্ধ হবে, কতটা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে, আদৌ কোনো ন্যূনতম জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে কি না, এই সম্মেলন থেকে সে বিষয়ে একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইন্দিরা গান্ধীর ‘স্বৈরাচারী’ মনোভাবের বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালে এই পাটনা শহর থেকেই জয়প্রকাশ নারায়ণ গড়ে তুলেছিলেন ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’ আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জেরে ১৯৭৭ সালে ভেসে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর দল কংগ্রেস। ৪৮ বছর পর সেই পাটনায়ই ‘স্বৈরাচারী’ নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা শুরু করছেন দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতারা। সেই প্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান শরিক কংগ্রেস। পাটনা সম্মেলনের মূল হোতাও জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতা নীতীশ কুমার। থাকার কথা আরও একজনের, যাঁর জন্মও ওই আন্দোলনের সূতিকাগৃহে। লালু প্রসাদ। এ এক আশ্চর্য সমাপতন!

শুধু তা–ই নয়, এত দিন ধরে যেসব বিরোধী দল কংগ্রেসের বিরোধিতা করে চলেছে, সম্ভাব্য বিরোধী জোটের নেতৃত্বদানের প্রশ্নে কংগ্রেসকে কল্কে দিতে রাজি ছিল না, পাটনায় তারাও একই মঞ্চে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে চলেছে। তবে জোটের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেও কোন শর্তে ও কীভাবে তাঁরা কাছাকাছি আসবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কাজেই এই সম্মেলন নিয়ে বিজেপিবিরোধী মানুষেরা যতটা আগ্রহী, ততটাই উৎসুক বিজেপিও। তারাও দেখতে চায়, নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলায় বিরোধীদের পাটিগণিত ও রসায়নের চরিত্র কেমন হয়।

জোটবদ্ধতার রাশ কংগ্রেসের হাতে ছাড়তে নারাজ ছিলেন বলেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মেনে সলতে পাকানোর দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। তাঁর যোগ্য সহকারী হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের জোট শরিক আরজেডি নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। অসুস্থ বাবা লালু প্রসাদকে তিনিই সম্মেলনে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মোদির বিপরীতে বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসতে নীতীশ নিজেই আগ্রহী। ‘মোদি’ পদবি মামলায় রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সেই আগ্রহ বেড়েছে। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও কৌশলগত কারণে এই প্রশ্নকে এখনই গুরুত্ব দিতে নারাজ। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সাফল্যের পর রাহুল গান্ধী নিজেও তাঁকে আড়ালে রেখে বিরোধী জোট গড়ে তোলার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। সেই অবস্থানের চরিত্র কেমন হবে, সেটাও এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে বিজেপিকে মোকাবিলার দায়িত্ব তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া দরকার। যেমন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি, তেলেঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাও এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোয় কংগ্রেস। তর্কের খাতিরে তা বাস্তববাদী মনে হলেও রাজনীতিতে কতটা কার্যকর ও সম্ভবপর, সে নিয়ে পরস্পরবিরোধী মতামত রয়েছে। এই বৈঠকে বিজেপিবিরোধিতার মূল রণনীতি তৈরি হলে মনে করা হচ্ছে, পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যওয়ারি আসন সমঝোতার প্রশ্নে বিরোধীরা এগোবেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই সম্মেলনকে অন্যভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিকভাবে তাঁকে চাপে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার সচেষ্ট। রাজধানী–রাজ্য দিল্লির আমলাশাহিকে হাতে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি এক অধ্যাদেশ জারি করেছে। সেই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, আমলাশাহির নিযুক্তি ও বদলিসংক্রান্ত সব অধিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়াল চান, সংসদে সেই অধ্যাদেশ বিল হিসেবে এলে সব বিরোধী দল যেন রাজ্যসভায় তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেয়, যাতে বিলটি পাস না হয়। কেজরিওয়াল চান, সম্মেলনের শুরুতেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটাতে। কংগ্রেস যদিও এ নিয়ে এখনো নীরব। কংগ্রেস তার মনোভাব স্পষ্ট না করলে কেজরিওয়াল পাটনা সম্মেলনে যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

২০১৯ সালের লোকসভার ভোটের ফল দেখলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির প্রতিপক্ষ বলতে কেউ নেই। সে কারণে কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস বিধানসভায় ক্ষমতায় এলেও লোকসভা ভোটে ওই সব রাজ্যের জনতা ভরসা রেখেছিলেন মোদির ওপর। পাঁচ বছর পর বিরোধীরা এখন মনে করছে, নানা কারণে মোদির সেই চাকচিক্য অনেকটাই ম্লান। মানুষও নানা কারণে বীতশ্রদ্ধ। তাই বিরোধীরা জোটবদ্ধ হতে পারলে বিজেপিকে লোকসভায়ও রুখে দেওয়া অসম্ভব নয়।

সেই লক্ষ্যে বিরোধীরা বিশেষ করে নজর দিতে চাইছেন কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশের ওপর। এসব রাজ্যের মোট ২২৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১৮৯টি।

বিরোধীদের ধারণা, সমঝোতা ও বোঝাপড়া ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে শুধু এসব রাজ্য থেকেই বিজেপির প্রাপ্তি অর্ধেক করা যেতে পারে। সেই সমঝোতা ও বোঝাপড়া কতটা সম্ভব হবে, আগামীকালের পাটনা সম্মেলন তারই ইঙ্গিত দেবে।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪