চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবদলের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। এরপর নগরের জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র–ইতিহাসসংবলিত ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভাঙচুরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ যুবদলকে দায়ী করলেও যুবদল অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে বেশ কয়েকটি মিনি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। মহসিন কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকেন। তখন ওই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ট্রাকগুলো থামান। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁরা ইট–পাটকেল ছোড়েন। পরে সেখান থেকে যাওয়ার সময় যুবদলের নেতা–কর্মীরা নগরের জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র-ইতিহাসসংবলিত ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র-ইতিহাস ম্যুরালসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালিয়েছেন যুবদলের নেতা–কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যুবদলের ব্যানার–ফেস্টুন পাওয়া গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ফুটপাতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে কাচের টুকরা। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না পেয়ে সড়কে হেঁটে চলাচল করছেন পথচারীরা।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের সামনে দিয়ে চার-পাঁচটি ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিলেন বিএনপির সমর্থকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের বারণ করলে তাঁরা ট্রাক থেকেই লাঠিসোঁটা আর ইট–পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।
তবে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে আসার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরাই তাঁদের আটকান। ফলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনো পাল্টা হামলা করা হয়নি। কোনো ম্যুরাল ভাঙা হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, চকবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামালখান এলাকায় ভাঙচুর চালান যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। ভাঙচুরের ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. মাহবুব সিদ্দিকী (৩৫), মো. এরফান (৩০), নুরুল ইসলাম মাসুম (৩৯), মো. ইমন খান (২০) ও মো. মহিউদ্দিন হাসান (২০)। তাঁদের মধ্যে মাহবুব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. এরফান বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রদলের ৪ নম্বর ইউনিটের সাবেক সভাপতি এবং নুরুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী। এ ছাড়া ইমন খান চাঁন্দগাও থানা যুবদলের কর্মী।
বা বু ম / অ জি