1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- আইজিপি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাপাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম- আইজিপি শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা! ক্রেতা সেজে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে আইফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ১ কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া ছিনতাই হওয়া স্বদেশ আবার ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা- ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

যারা সাংবাদিক নাদিমকে খুন করেছে তারা সবাই আ. লীগের লোক : ফখরুল

  • সময় : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩
  • ৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রশ্ন নয়, বর্তমান সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ‍তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি করেছে, করুক, আমাদের কিছু যায় আসে না। ভিসানীতি আমরাও করতে পারি। এখন আপনারাও ভিসা নীতি করেন না দেখি।

প্রশ্ন সেটা না, প্রশ্ন হচ্ছে, এটা ভিসানীতিরও প্রশ্ন না।

আজ রবিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই প্রশ্নে তুলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার বিবেকের প্রশ্ন, জাতির বিবেকের প্রশ্ন, ‘আই একাউন্টেবল ইউএসএ না’, ‘আই একাউন্টেবল টু মাই পিপল’। আমার জনগণের কাছে একাউন্টেবল কিনা বলেন, এটাই যথেষ্ট।

জনগণ কি বলছে? আমি ভোট দিতে পারছি না। আমার ওপর অত্যাচার হচ্ছে-নির্যাতন হচ্ছে, অন্যায়ভাবে আমার কাছ থেকে ট্যাক্স আরোপ করে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে, কোটে গেলে আমি ন্যায় বিচার পাই না, এ বিষয়গুলো আমাদের আজকে বড় সমস্যা করছে।”
 
‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরা কি করে গণতন্ত্র দেবে? এরা বার বার বলে, আমরা নির্বাচন দিচ্ছি। একটা ভালো নির্বাচন হবে কথা দিচ্ছি।

আরে মানুষ বিশ্বাস করবে কি করে তোমাদের? কোন দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে ভালো নির্বাচন করেছে? কোনোদিন না। দেখুন প্রত্যেকটা নির্বাচন, এমন কি ১৯৭৩ সালে তারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তোমরা এক দলীয় বাকশাল করেছো, তখনো তোমরা ত্রিশ হাজার মানুষকে রক্ষী বাহিনী দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছো, তোমাদের দুঃশাসনের কারণে সেদিনও দুর্ভিক্ষ হয়েছে, মানুষকে খাবার দিতে পারোনি। এখন কি করছ? গত ১৪ বছর ধরে স্টিমরোলার চালাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ওপরে। সো-কোল্ড ডেমোক্রেসি ফর দ্য ইলেকশনের কথা বলে।

এখন আবার নতুন ধোঁয়া তুলেছে যে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য তাদের নাকি থাকা উচিত।’

‘আমাদেরকে বলে, আমরা নাকি বিদেশিদের কাছে যাই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, মাঝে মধ্যে বিদেশিরা আমাদের ডাকেন। জানতে চান যে, দেশে কি হচ্ছে? তোমরা কি করছো? এটা স্বাভাবিক যেকোনো দেশ এগুলো জানতে চাইবে আর যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে তারা জানতে চাইবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, পৃথিবীতে তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চান। সুতরাং তারা তাদের কাজ করছে। যেখানে গণতন্ত্র নাই সেখানে তারা গণতন্ত্র নাই সেকথা বলে দেন, তাদেরকে গণতন্ত্রের সম্মেলনে ডাকেন না, তাদের স্যাংশন-ট্যাংশন কিসব দেন।’

বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এখানে জনগণের অধিকার কেঁড়ে নেওয়া হচ্ছে, এখানে ভোটের অধিকার দেওয়া হচ্ছে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আজকে দেখেন পত্রিকায় আছে, একজনকে নিয়ে গেছে, নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ডিবি। এখন হাসপাতালে দিয়ে এসেছে। গত দুইদিন আগে চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশে এসেছিল ছাত্র দলের মেয়ে এসেছিল। সমাবেশে শেষে ওখানে থেকে সে ফিরে যাচ্ছিল মীরেরশ্বরাইতে, ওখানে তার সিএনজি আটকিয়ে তাকে নামিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা কয়েক ঘণ্টা এক বাসায় আটকে রেখে তার ওপর অত্যাচার করেছে। তার মা খোঁজ পাওয়ার পর যখন গেছেন তখন তাকে থানায় নিয়ে গেছে। থানাওয়ালা করেছে কি? তারা একটা পুরনো মামলায় তাকে আসামি করে জেল হাজতে আটকে রেখেছে, পরেরদিন কোটে দিয়েছে। আর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। দি কল্ড জুডিশিয়ারি, এটাই হচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। যেখানে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটা মেয়েকে আটক করে নির্যাতন করে তাকে আবার কারাগারে পাঠায়। এই রাষ্ট্রে এই সমাজে কি করে গণতন্ত্রের কথা বলবেন? কি করে এখানে নিজের অধিকারের কথা বলবেন?’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জামালপুরের বকসীগঞ্জে আজকে বড় বড় ছবি বেরিয়েছে পত্রিকায়, চেয়ারম্যান বাবুর (মাহমুদুল আলম বাবু)। তারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা। যারা এই সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। এই বিষয়গুলো আমরা বলছি, আমাদের মিডিয়া-সাংবাদিক ভাইয়েরা বলছেন, সবাই বলছে কিন্তু তাদের (সরকারের) কানে যাচ্ছে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এই সংকট শুধু বিএনপির না, এই সংকট শুধু তারেক রহমান বা বেগম খালেদা জিয়ার না। এই সংকট গোটা জাতির, জাতির এখন চরম বিপদ আছে এই পথ থেকে উদ্ধার করতে হবে। দেশকে উদ্ধারের জন্য তারেক সাহেব যে ডাক দিয়েছেন এটা আমার কাছে মনে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, অন্য কোনো কিছুতে ফয়সালা হচ্ছে না, ফয়সালা রাজপথেই হবে। আরেকটা কথা বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাৎ যে বাংলাদেশ ছিল আমাদের, একাত্তরের যুদ্ধে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা যে বাংলাদেশ নির্মাণ করবার জন্য কাজ শুরু করেছিলাম জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে, সেই বাংলাদেশ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা করতে চাই। আমি কথা বলতে চাই, আমি ভোট দিতে চাই, আমি যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে চাই, স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে চাই, এটাই হচ্ছে আমাদের চাওয়া।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবদুল হাসনাত মোহা. শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, গ্রন্থের লেখক অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪