1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রাণ ফিরে পেয়েছে

  • সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০
  • ২৫৩

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভাওয়াল গড়ের ছোট ছোট টিলা, শাল-গজারি সমৃদ্ধ বনের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের নানা বন্যপ্রাণির অবাধ বিচরণের অন্যতম স্থান হিসেবে দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। পুরো পার্কটি ঐতিহ্যবাহী ভাওয়ালের শালবনে অবস্থিত। নানা প্রজাতির উদ্ভিদের পাশাপাশি এ বনে কয়েক দশক আগেও বাস করতো বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণি।

কিন্তু স্থানীয় মানুষ দিন দিন প্রকৃতির বিরূপ পরিবেশ তৈরি করায় নানা উৎসের আবাসস্থল এ বন কিছুদিন আগেও হুমকির মুখে পড়েছিল।জানা যায়, ২০১১ সালে সরকার এ বনকে আগের উৎসে ফিরিয়ে এনে মানুষের বিনোদনের জন্য শালবনের ৩ হাজার ৮১০ একর ভূমি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গড়ে তোলেন। সরকারের প্রচেষ্টা আর পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিশ্রমে দীর্ঘদিনে আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে পার্কের পরিবেশ।

তবে করোনাকালের এ সময়ে পার্কটি যেমন প্রাণ ফিরে পেয়েছে; তেমনি দেশি-বিদেশি পাখ-পাখালির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত ৩ মাসে এ পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকলে হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়া পার্কটি এখন পাখ-পাখালির কিচিরমিচির শব্দে মুখর করে রাখছে প্রতিমুহূর্ত।পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিশাল এ সাফারি পার্কের কিছু এলাকা দর্শনার্থীদের জন্য সাফারি জোন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। তবে বিশাল একটি এলাকা পার্কের প্রায় ২৭ কিলোমিটার সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে রয়েছে।

যেখানে স্থানীয় মানুষের আনাগোনা ছিল। বন্যপ্রাণিরা বসবাসের উপযোগী পরিবেশ হারিয়েছিল এসব এলাকায়। সম্প্রতি পুরো এলাকা নজরদারীতে আনা হয়। বিভিন্ন বন্যপ্রাণির প্রাকৃতিক খাবারের জোগানের জন্য এসব এলাকায় প্রায় শতাধিক প্রজাতির বিলুপ্ত ও বিপন্ন জাতের বিশ হাজার উদ্ভিদ রোপণ করা হয়েছিল। এতেই পরিবেশ ও প্রকৃতি যেন গর্জে ওঠে। এ বর্ষায় উদ্ভিদগুলো বেড়ে উঠতে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।

ফল দেওয়া শুরু করেছে নানা প্রজাতির গাছগুলো। বিশাল এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাকৃতিক জলাশয় ও নালাগুলোতে মাছ শিকারে প্রতিনিয়ত আসছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছে গাছে ঝুলছে পাখিদের বাসা। নিরাপদ পরিবেশে ব্যাপক প্রজননে পার্কটি এখন পাখিদের অভয়ারণ্য।সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ‘মুজিববর্ষকে সামনে রেখে পার্কের আগের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে নানা প্রজাতির গাছ দিয়ে ছেয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ধারণা ছিল, প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্যপ্রাণির খাবারের জোগান, নিরাপত্তা ও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করলেই ঝাঁকে ঝাঁকে প্রাণি আসবে। তাদের বংশ বৃদ্ধি পাবে। আমরা সেই পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে। করোনার সময়ে পার্কটি বন্ধ থাকায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি বসবাসের অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে।’গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের রিসোর্স অফিসার (গবেষণা কর্মকর্তা) আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘করোনার এ সময়ে দীর্ঘ কয়েকমাস প্রকৃতি বিশ্রামে থেকে নতুনভাবে জেগে উঠেছে।

এর মাধ্যমে এ মহামারী আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে, প্রকৃতিরও বিশ্রাম প্রয়োজন। যেখানে মানুষের আনাগোনা কমবে; সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ বা বন্যপ্রাণির আনাগোনা বৃদ্ধি পাবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪