ডেস্ক নিউজঃ
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্য দিয়ে দুই মাসের বেশি সময় পর ব্লুমবার্গের ধনকুবেরদের এ তালিকায় শীর্ষে উঠলেন তিনি।
ব্লুমবার্গের ধনকুবেরের তালিকায় গত বছরের ডিসেম্বরে মাস্ককে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। তিনি বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে। আর বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে।
গত বছর মাস্কের টুইটার কেনার প্রসঙ্গে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এ বিতর্কের সরাসরি প্রভাব পরে মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে। যার ফলে অল্প সময়েই শেয়ারবাজারে বড় অঙ্কের অর্থ খুইয়েছিলেন মাস্ক। তবে ২০২৩ সালে প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় ইতিবাচক ধারায় আবারও শেয়ারবাজারে সুবিধাজনক অবস্থায় ফিরছেন টেসলার সিইও।
বর্তমানে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭ বিলিয়ন ডলার হলেও বছর দেড়েক আগেও প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে! ঐ সময়ের হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের মালিক, ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টুইটারসহ নানা ইস্যুতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ নেমে আসে মাত্র ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন সম্পদ খুইয়েছেন তিনি। এত কম সময়ে এত বেশি সম্পদ হারানোর রেকর্ড মাস্ক ছাড়া আর কারোই নেই।
শুধু টেসলা নয়, বরং টুইটারের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবরে বহু নাটকীয়তার পর ৪৪০০ কোটি ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় মাস্ক ও আর্নোর পরেই রয়েছেন ১১৭ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক জেফ বেজোস। আর ১১৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়ে তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।