স্পোর্টস ডেস্ক :
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে বেশ শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে গেছে তারা। আর নকআউটে আর্জেন্টিনার সামনে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। খোদ লিও মেসিই এই ম্যাচকে বলছেন কঠিন।
বুধবার ডেনমার্ককে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছয় নকআউটে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার কাছে হার মানে পোল্যান্ড। আর তার ফলেই নকআউটে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা খুবই কঠিন হতে চলেছে আমাদের জন্য। সব দলই সবার বিরুদ্ধে জিততে পারে। সবকিছুই সম্ভব বিশ্বকাপে। আমরা ম্যাচটার জন্য সেরা প্রস্তুতি নিতে চাই।’
বিশ্বকাপে পা রাখার পর থেকে নিজেদের লক্ষ্যটা স্থির করে ফেলেছে মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে ভাবছে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। গ্রুপের বাধা টপকানোই প্রথম লক্ষ্য ছিল স্কালোনির দলের। সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে আর্জেন্টিনার। মেসি বলছেন, ‘আমাদের অধৈর্য হলে চলবে না। প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। এবার আরেকটা বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। আমরা যা করেছি, সেটাই আগামী দিনে করতে পারব বলে মনে করি।’
ডেনমার্ককে হারিয়ে একপ্রকার অঘটনই ঘটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপের অন্য খেলায় ফ্রান্স হার মেনেছে টিউনিশিয়ার কাছে। কিন্তু জিতেও শেষরক্ষা হয়নি টিউনিশিয়ার। ছিটকে যায় আফ্রিকার এই দেশ। নকআউটে যায় ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। পোল্যান্ডকে জীবনমরণ ম্যাচে আর্জেন্টিনা মাটি ধরায়। পাসের মালা তৈরি করে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় আর্জেন্টিনা। মেসি পেনাল্টি নষ্ট করেন। কিন্তু গোটা ম্যাচে তিনি প্রভাব ফেলে যান। পেনাল্টি নষ্ট করায় নিজের ওপরেই ক্ষুব্ধ মেসি।
সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিধারী বলেন, ‘পেনাল্টি নষ্ট করায় নিজের উপরেই আমি রাগ করেছি। আমার ওই ভুলের পরে দল ঘুরে দাঁড়ায়। দুর্দান্ত ম্যাচ উপহার দেয়। আমরা জানতাম প্রথম গোল হয়ে গেলে ছবিটাই বদলে যাবে।’
পেনাল্টি নষ্ট করতে পারেন মেসি কিন্তু গোটা ম্যাচে তার স্কিলের বিচ্ছুরণ, গোটা দলকে নেতৃত্ব দেয়া, মাঝমাঠ থেকে পোল্যান্ডের রক্ষণ ভাঙতে ভাঙতে আগুন লাগানো দৌড় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি এনে দেয়। মেসি কিন্তু ওই ট্রফি তুলে দেন ম্যাক অ্যালিস্টারের হাতে।