1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাগরিক জীবনে সর্বত্রই পুলিশের অবদান রয়েছে- ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেন-ইসরায়েলের সহায়তা বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর সম্পন্ন চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের নিকট প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ-ওবায়দুল কাদের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত র‌্যাবের নয়া মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

অশনির প্রভাবে সাভারে শনির দশা

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২
  • ৭৯


সাভার প্রতিনিধি


অশনির প্রভাবে সকাল থেকেই সাভারে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। কখনও মুষলধারেও বৃষ্টি দেখা গেছে। টানা বৃষ্টিতে সাভারের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কসহ তলিয়ে গেছে মহাসড়ক। এতে যানবাহনের ধীরগতিতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এ যেন অশনির প্রভাবে শনির দশা। 


মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক থেকে জামগড়া, জামগড়া-বাগবাড়ি, জামগড়া-তেঁতুলতলা, শেরআলী-গাজিরচট স্কুল রোড ও বুধবার(১১ মে) সাভার পৌরসভার রেডিও কলোনি, ছায়াবীথি,মজিদপুর,গেন্ডা নামাবাজারসহ বিভিন্ন সড়ক কোথাও হাঁটুপানির নিচে তলিয়ে গেছে। 


পথচারীরা বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই এসব সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কাজ করে পোশাক কারখানায়। বৃষ্টি হলেই দুপুর খাবার খেতে বাসায় যেতে পারে না তারা। বৃষ্টির দিনে বেশিরভাগ সময় দুপুরে না খেয়ে থাকেন শ্রমিকরা। 


পোশাক শ্রমিক বিলকিস বলেন, আমি সকালে অনেক কষ্ট করে কারখানায় আসছিলাম। দুপুরে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রিকশা ভাড়াও অনেক। তাছাড়া রিকশাওয়ালারাও যেতে চায় না। একারনে অনেক সময় বাসাতেই যাওয়া হয় না। আজও যেতে পারি নি, দুপুরেও খাইতে পারি নি। তাই নাস্তা খাওয়ার জন্য কারখানা থেকে বের হয়েছি। তবে রাস্তায় এক হাঁটু পানি। হোটেলেও যেতে পারছি না। 


অপর শ্রমিক আকলিমা বলেন, সকালে আলাদা একটা পোশাক নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। ভিজে কারখানায় এসে পোশাক পরিবর্তন করেছি। দুপুরে যদি আবার যাই আর ফিরে আসি তাহলে ৪ টি পোশাক লাগে। এছাড়া হাঁটু পানি দিয়ে হেঁটে যাওয়ারও বুদ্ধি নেই। এখানকার একটি সড়কেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। আমি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা যেন শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেয়। 


মোহনা পরিবহনের চালক আল-আমীন বলেন, বৃষ্টি হলেই ইপিজেড-আশুলিয়া সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হয়। এতে করে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা প্রায় ১০ বছর ধরে দেখে আসছি। কিন্তু এখনও নিরসন হলো না। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। 


এবাপারে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. সাহবুদ্দিন  বলেন, আমরা শুধু বৃষ্টির পানিটা খুব সহজে নিরসন করতে পারি। যখন বৃষ্টির পানির সাথে কলকারখানার পানি যোগ হয় তখন এটা কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। তার পরেও আমরা সেখানে সার্বক্ষণিক লোক রাখবো। আর পানি নিষ্কাশনের আউটপুটও সেখানে নেই। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আমরা সর্ব প্রথমে পানি যাতে না জমে সেই ব্যবস্থা নেবো। আশা করি আগামী বছরে এই সমস্যাটা আর থাকবে না। 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪