ডেস্ক নিউজ:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৭ জনের মৃতদেহ বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৫ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে। এরমধ্যে চারজনের মৃতদেহ তাদের স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এ লঞ্চটি প্রথমে চাঁদপুর পরে বরিশাল ও দপদপিয়া ঘাটে যাত্রী নামায়। দপদপিয়া থেকে লঞ্চটি ছেড়ে বেতাগীর উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বেতাগীর পরে আরও পাঁচটি ঘাট টাচ করে এই যাত্রার শেষ গন্তব্য বরগুনা।
বেতাগী যাওয়ার আগে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে রাত ৩টায় চলমান লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। শীতের রাতে লঞ্চে আগুন আর নিচে সুগন্ধা নদীর ঠাণ্ডা পানি যাত্রীদের মনে ‘অনিবার্য মৃত্যুর’ ভীতি সঞ্চার করেছে মুহূর্তেই। তবে আগুনে নির্ঘাত মৃত্যুর চেয়ে প্রাণ বাঁচাতে ঠাণ্ডা পানিকে বেছে নেন যাত্রীরা।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃতদেহ পেয়েছি। এর ভিতরে পাঁচটি লাশ শনাক্ত করা হয়। চারটি তাদের স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি বাকিগুলোও শনাক্ত করা হবে।