1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিজয় দিবসে ৫৪ জনের প্যারা- জাম্পিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্বরেকর্ড আগামীকাল প্যারাজাম্প উপলক্ষে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশনের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, আহত ৮ প্রার্থীরা চাইলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারবেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে হাদিকে বিদেশে পাঠাতে ব্যবস্থা নেবে সরকার- প্রধান উপদেষ্টা ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ গভীর নলকূপ হতে উদ্ধারকৃত শিশু সাজিদকে মৃত ঘোষণা দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শিশু সাজিদকে উদ্ধার

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

  • সময় : শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৪৯

ডেস্ক নিউজ:

আগামীকাল রোববার নিহত বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে। আগামীকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

দেশে-বিদেশে আলোচিত এই হত্যার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছে তার পরিবার। হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এভাবে হত্যা বন্ধ হবে এমনটাই বললেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।তিনি বলেন, ওরা যদি আমার ছেলেকে গুলি করে মারতে পারতো, তাহলে ওর এতো কষ্ট হতো না। ওরা খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে।

শনিবার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরারের বাসায় গেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন রোকেয়া খাতুন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন- আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। দুপুরে বাসযোগে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তারা। তবে খুনিদের দেখতে চান না বলে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন যাননি।

তিনি বলেন, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গিয়েছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে। আমার মতো আর যেন কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।

মামলায় আরও আসামি হওয়া দরকার ছিল বলে উল্লেখ করে আবরারের মা বলেন, আশপাশের রুম থেকে ফাহাদের নির্যাতনের খবর জেনেও বুয়েট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। বিষয়টি জানালে ফাহাদের এই নির্মম মৃত্যু হয়তো হতো না।

আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আশা করছি। ভাইয়ের রায় ঘোষণা শুনতে আব্বার সঙ্গে আমিও ঢাকায় যাবো। আমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের আরও অনেকে যাবে।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।

ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

মামলার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ আইন সম্পাদক অমিত সাহা, শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং এস এম মাহমুদ সেতু।

পরে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তদের সংগঠন থেকে তাদের বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। গ্রেপ্তার ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।

মামলার আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত। মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামের পলাতক এক আসামি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিনজন আসামি।

তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না। চার্জশিট দাখিলের পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়।

এরপর ১৮ মার্চ ওই আদালতে মামলাটি বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। করোনায় প্রথম দফা ছুটি শেষে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এরপর মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেনি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যও দেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ ২৮ নভেম্বর এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪