ডেস্ক নিউজ:
মাদক মামলায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পুলিশের রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিনে থাকবেন তিনি। শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) এ আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরীমনির আইনজীবীরা। আদালত প্রাঙ্গণে পরীমনির আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আপাতত পরীমনির মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। আমরা আমাদের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা চেষ্টা করব আজকেই তাকে জেল হাজত থেকে মুক্ত করার।’
পরীমনির আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমরা আজকে বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি করেছি। শুনানিতে আমরা বলেছি, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৭ ধারা অনুযায়ী মহিলারা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পরীমনি যেহেতু একজন মহিলা, দেশে বিদেশে তার পরিচিতি আছে, নাম আছে, তার সিনেমা প্রক্রিয়াধীন আছে, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য আর এ মামলায় কোনো প্রমাণ আসে নাই বিধায় আমাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে রোববার (২৯ আগস্ট) উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরীমনির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। পরীমনিকে তিন দফায় সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে একটি বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন। স্বপ্রণোদিত হয়ে চাওয়া হয় আদেশ। আদালত বলেছেন, জামিন শুনানির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গত ২১ আগস্ট আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ১২টার দিকে অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি) তাকে আদালতে হাজির করে। পরে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
২১ আগস্ট পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলেও তার আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করেননি। তবে তিনি পরীমনির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক কথা বলার অনুমতি দেননি।
বিচারক এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির কাছে যান তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন পরীমনি তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা আমার জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আপনারা জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব! আপনারা বুঝতেছেন আমার কী কষ্ট হচ্ছে?’
গেল ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় এ নায়িকার বাসা থেকে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মাদক সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন পরীমনি। পরে ৫ আগস্ট তার নামে রাজধানীর বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।