ডেস্ক নিউজ:
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় টিকা বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, চীন থেকে বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে ১০ লাখ টিকা এসেছে। টিকা ও সিরিঞ্জ বহনকারী বিমানের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট বিজি-৫০৬৫) শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
এর আগে চীনের তিয়ানজিন বিনহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। মোট ৫৭টি বাক্সে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা ও ৩১৩টি কার্টনে ৪ দশমিক ১ টন সিরিঞ্জ এসেছে।
শনিবার সকাল ১০টায় বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইট (বিজি-৫০৬৬) টিকা আনতে ঢাকা থেকে চীনের তিয়ানজিন বিনহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে টিকা বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার শিডিউল রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান শুক্রবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, চীন থেকে ১০ লাখ টিকা ঢাকায় আসছে। টিকাগুলো সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ উপহারের টিকা আসে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন।
এছাড়া, কোভ্যাক্সের আওতায় তিন চালানে সিনোফার্ম থেকে দেশে এসেছে ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৮০১ ডোজ টিকা। আর সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত চীন থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ৮০১ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
গত ৯ আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ এবং চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা আসবে। এছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা চীন উপহার হিসেবে দেবে।