মুহাররম হিজরি সনের প্রথম মাস। এ মাসের বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিসে এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজার পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। -সহীহ মুসলিম : ২৮১২
যখন হিজরি সনের গণনা শুরু করেন তখন রাসূলের হিজরত থেকে ১৭ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। রাসূলের হিজরতের বছরকে প্রথম হিজরি ধরে ১৭ হিজরিতে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শক্রমে হযরত উমর রাযি. মুসলমানদের হিজরি সনের সূচনা করেন।
অন্য যেকোনো মাসে নফল রোজা রাখার চেয়ে মুহাররম মাসে নফল রোযা রাখা সবচেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তাহলে মুহাররম মাসে রাখো। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তায়ালা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন। -জামে তিরমিযী : ৭৪১
মহররমের পুরো মাসের রোজাই সর্বোত্তম হলেও মহররমের ১০ তারিখের রোজা সবচেয়ে উত্তম এবং ফজিলতও অনেক বেশি।
আশুরার রোজার বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আশুরার রোজা সম্পর্কে আমি আশাবাদী, তা পূর্বের এক বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। -সহীহ মুসলিম : ২৮০৪
আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে সুন্নত হলো, ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখেও রোজা রাখা। আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখার কথা এসেছে হাদিসে। সে হিসাবে ১০ ও ১১ তারিখ রোজা রেখে নিলেও হবে। তবে ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখাই সবচেয়ে উত্তম। কোনো কারণে ৯ তারিখ ছুটে গেলে ১০ ও ১১ তারিখ রোজা রেখে নেবে।
মুহাররম মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করা চাই। নফল ইবাদতের মধ্যে এ মাসে নফল রোজার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আশুরার দিন নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম খাবারের আয়োজন করা। ইফতার ও খাবারে যথাসম্ভব ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। যে ব্যক্তি এ কাজ করবে আল্লাহ তায়ালা পুরো বছর তার জন্য প্রশস্ত রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।