সোহেল রানা,সাভার(ঢাকা):
সাভারের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক এস আই মনসুর হোসেন মানিকের ৩৬তম জন্মদিন আজ ১০ আগস্ট।
১৯৮৫ সালের এই দিনে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চাকল গ্রামে তাঁর জন্ম।
সামাজিক কাজের ডায়নামিক লিডার খ্যাত মনসুর হোসেন মানিকের জন্মদিনে দোয়া, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেবাপ্রাপ্তি, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অজস্র শুভ কামনা ও প্রীতি জানিয়েছেন তাঁকে।
মনসুর হোসেন মানিক ২০১২ সালে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির বেসিক ট্রেনিং গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানায় কর্মক্ষেত্র শুরু করেন। সেখানে তিন বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রেষণে এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) এক বছর কাজ শেষে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা,শাহবাগ থানা,কলাবাগান থানা হয়ে বর্তমানে উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীর সুনাম অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মনসুর হোসেন মানিক ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ায় ও সাংস্কৃতিক কাজে মনোযোগী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নিজেকে অগণিত সামাজিক কাজে নিয়োজিত করেছেন এবং পুলিশ বাহিনীর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সহকর্মী ও পুলিশি সেবা প্রার্থীদের কল্যাণে কাজ করে সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নন্দিত হয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ও পাপিয়া বেগম দম্পতির বড় সন্তান মনসুর হোসেন মানিক এবং ছোট কন্যা রুনা আক্তার।
এস আই মনসুর মানিক পাথালিয়ার চাকলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ঘুঘুদিয়ায় মাধ্যমিক, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অনার্স, রাজধানীর আশা ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি চলতি বছরে পুলিশ বাহিনীর পদোন্নতি কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এবং ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আইজিপি ব্যাজের প্রস্তাবনায় হেডকোয়ার্টার্সে নাম লিপিবদ্ধ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। খুবশীঘ্রই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক পদোন্নতি হওয়ার কথা রয়েছে তার।
এছাড়াও ২০১০ সাল থেকে সামাজিক সংগঠন শহীদ সার্জেন্ট সাবেদ দেওয়ান স্মৃতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক, আশুলিয়ার ১ হাজার ৫৪ গ্রাজুয়েটদের সংগঠন আশুলিয়া গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের এডমিন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইংরেজি বিভাগের এ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে সামাজিক কাজের ডায়নামিক লিডার হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।