ডেস্ক নিউজ:
কেমন হবে যদি বর্তমান সময়ের সেরা তিন ফুটবলার রোনালদো-মেসি-নেইমারকে দেখা যায় একই দলে। কল্পনা নয় বরং আসন্ন মৌসুমেই এমনটাই দেখা মিলতে পারে বাস্তবে।
আর সেটা ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির হাত ধরে।য়্যুভেন্তাসের প্রতি ক্রিস্টিয়ানোর ব্রীতশ্রদ্ধ ভাব, সেই সঙ্গে মেসির বার্সার ছাড়ার খবর। সব মিলিয়ে গুঞ্জনে মিলছে ডালপালা। ইউরোপের একাধিক গণমাধ্যমের দাবি প্যারিসের পথেই হাঁটছেন সিআরসেভেন আর এলএমটেন। আগে থেকেই যেখানে আছেন নেইমার, এমবাপ্পে, ডি মারিয়ারা।
সেবার পৃথিবীবাসীর ভীষণ বিপদ। ভিনগ্রহের আগ্রাসনে অবরুদ্ধ তাবদ দুনিয়া। শর্ত একটাই হুরাকানদের হারাতে হবে ফুটবলে, তবেই তারা তুলে নেবে আগ্রাসন। প্ল্যানেটকে বাঁচাতে একাট্টা হলেন মেসি রোনালদো। রুদ্ধশ্বাস আর স্নায়ুচাঁপ উতরে, শেষ পর্যন্ত জয় হলো তাদেরই। না এমনটা বাস্তবে ঘটেনি। বছর পাঁচেক আগে একটি সংস্থার জন্য নির্মাণ হয়েছিলো এমনই কাল্পনিক বিজ্ঞাপন।
মেসি-রোনালদো-নেইমার। গোটা দুনিয়া জুড়েই তাদের ফ্যানবেজ। যাদের সমর্থনে বাড়ে ক্লাবের সমর্থক। তবে অর্থ আর পেশাদারিত্বের ফুটবলে, আবেগ তো নস্যি। তাইতো রিয়ালকে সব জিতিয়েও ঘরের ছেলে হতে পারেন নি রোনালদো। টাকার কাছে হেরে বার্সায় থিতু হতে পারেননি নেইমারও। আর মেসির ২১ বছরের সম্পর্কের ইতিটানার ক্ষরণ তো দগদগে।
তবে এটাইতো ফুটবল। এক ক্লাবের কান্নার বিপরীতে স্মিত হাসি অন্য ক্লাবভক্তদের। তাইতো এবার হয়তো এমন কিছু হয়তো হতে যাচ্ছে, বছর তিনেক আগেও যা কল্পনাতেও ভাবেনি ফুটবল বিশ্ব। ব্যাটে-বলে মিলে গেলেই হয়তো আসন্ন মৌসুমে একই দলে কাঁধে কাঁধ মিলয়ে লড়বেন রোনালদো-মেসি-নেইমার ত্রয়ী।
গুঞ্জনটা রটে ছিলো আগেই। মেসির বার্সা ছাড়ার নিশ্চিত হওয়ার খবরে যা পেলো ভিন্ন মাত্রা। মেসিকে পেতে টাকার ঝুলি নিয়ে নেমেছে প্যারিসিয়ানরা। যেখানে আছেন বন্ধু নেইমার, মারিয়া, ভেরাত্তি ও পারেদেস। ইউরোপের গণমাধ্যমের দাবি শেষ পর্যন্ত পিএসজিই হচ্ছে মেসির গন্তব্য।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের যে লক্ষ্যে য়্যুভেন্তাসে এসেছিলেন রোনালদো তার পূরণ হয়নি সিকি ভাগও। করোনাকালে আর্থিক অবস্থা ভালো নয় তুরিনোর ক্লাবটির। অনুশীলনে যোগ দিলেও য়্যুভ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছেই সিআরসেভেনের। সাবেক দুই ক্লাব রিয়াল-ম্যান ইউনাইটেডে ফেরা হচ্ছে না তার। গুঞ্জণ আছে ক্রিস্টিয়ানোকে পেতে তোড়জোড় শুরু করেছে প্যারিসিয়ান কর্তৃপক্ষ।
রোনালদো-মেসি-নেইমার খেলবে কিনা একই দলে তা জানতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আগস্টের পুরোটাই। তবে শেষ পর্যন্ত তাই হলে ভিন্ন এক রোমাঞ্চে ভাসবে ফুটবল বিশ্ব।