১ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ
ধানমন্ডি ৩২, ঢাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি:
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টে দিনের প্রথম সূর্যরশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই কাক ডাকা ভোরে স্বপরিবারে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বোরচিত নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শোকাবহ আগস্ট মাস বাঙালির জীবনে বেদনাদায়ক মাস। শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে রাত ১২ঃ০১ মিনিটে ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং ১৫ ই আগস্টে নিহত সকল শহীদের স্মরণে আলোক শিখা (মোমবাতি) প্রজ্জ্বলন করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন শোকের মাসের প্রথম প্রহরে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে আমরা জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। ৭১’র পরাজিত শত্রু ৭৫ ও ২১ শে আগস্টের খুনীচক্র এক ও অভিন্ন! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশীয় আন্তর্জাতিক খুনিচক্র পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বোরচিত নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জাতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলো! ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো জাতির পিতার খুনিচক্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে জাতির সাথে বেঈমানী করেছে! বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িত খুনি জিয়ার মরনোত্তর বিচার দাবী করেন তিনি।পৃথিবীর নিকৃষ্টতম আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে খুনি জিয়া। জননেত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তিচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে পাপমুক্ত হয় বাংলাদেশ। পাপমুক্ত জাতি এগিয়ে চলে উন্নয়নের মহাসড়কে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ পাবই পাব।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন জাতির পিতার পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর দন্ড কার্যকর করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল এবং হত্যাকান্ড পরবর্তী সময়ে যারা সুবিধাভোগী ছিল তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে আমরা শপথ নিতে চাই যেকোন মূল্যে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধের শক্তিকে আমরা সকলে মিলেই এদের প্রতিহত করবো। এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।