ডেস্ক নিউজ:
এদিকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
পৃথক পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত এসব ঈদের জামাতে গ্রামের কয়েক শ মুসল্লি অংশ নেন। এছাড়া নামাজ শেষে কয়েকটি গ্রামে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এসব গ্রামের বাসিন্দারা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপন করার কথা জানিয়েছেন।
দিনাজপুর সদরসহ কয়েকটি জায়গায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় হয়েছে। সকাল ৭টায় শহরের বাসুনিয়াপট্টির একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন প্রায় তিন শতাধিক পরিবার।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দুটি গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদ্যাপন করেছেন বাসিন্দারা। সকালে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা জানান, হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ বছর আগে থেকে তারা এভাবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপন করে আসছেন।
এছাড়া চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী সদরের ফরহাদনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এবং পরশুরাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (কোলাপাড়া) ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপু তার ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বরিশাল বিভাগের ৪৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদ উদ্যাপন করছেন। বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর গিরিয়া সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায়।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও কাউখালী উপজেলার আট গ্রামের ৭০০ পরিবার আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছেন। তবে তারা পশু কোরবানি দেবেন আগামীকাল বুধবার।
শেরপুরের তিন উপজেলার চারটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। এসব গ্রাম হলো সদরের বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের চরখারচর মধ্যপাড়া ও উত্তরপাড়া, নকলার চরকৈয়া এবং নালিতাবাড়ীর নন্নী পশ্চিমপাড়া। এ চার গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ নামাজের জামাতে অংশ নেন।
শরীয়তপুরে অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছেন। তাঁরা সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত, মুরিদান ও অনুসারী। জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে সুরেশ্বর দরবার শরিফ। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেখানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক হাজারের বেশি মুসল্লি ঈদুল আযহা উদযাপন করেন। সাতক্ষীরায় ৭টি জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজের পর পশু কোরবানি দেন মুসল্লিরা।