ডেস্ক নিউজ:
ব্যাট হাতে লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেটের সুবাদে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ১৫৫ রানের বড় জয় পেল সফরকারী বাংলাদেশ দল। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২১ রানেই থেমেছে ব্রেন্ডন টেলরদের ইনিংস।
লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ ।
২৭৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটের বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের। দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তাদিওয়ানাসে মারুমানি। আরেক ওপেনার ওয়েসলে ম্যাধভেরেকে ৯ রানে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ।
১৮ রানে ডেওন মেয়ার্সকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। আর ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর সাকিবের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ২৪ রান।
এরপর বল হাতে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন সাকিব। মূলত তার ঘূর্ণিতেই কাবু হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। জিম্বাবুয়ের হয়ে একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভা ছাড়া ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করার পর চাকাভা আউট হয়েছেন ৫৪ রানে।
এদিকে শেষ ছয়জন ব্যাটসম্যানের কেউই দশের ঘর স্পর্শ করতে পারননি। ৬ রানে বার্ল, ২ রানে মুজারাবানি আউট হন। রানের খাতায় খুলতে পারেননি লুক জংউই ও রিচার্ড এনগারাভা। ২ রানে অপরাজিত থাকেন টেন্ডাই চাতারা। আর চোট পাওয়ার কারণে ব্যাট করতে নামেননি টিমসেন মারুমা।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারেই মুজারাবানির বলে কটবিহাইন্ড হন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৯ রানে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। আর মোসাদ্দেক করেছেন ৫ রান।
দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে সফরকারীরা। এমন অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। দুজন মিলে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। তাতেই চাপ সামলে বড় স্কোরের দিকেই এগোতে থাকে দল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হয়েছেন ৩৩ রানে।
আপনতালে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাস তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। এনগারাভার বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। আউট হওয়ার পূর্বে ১১৪ বলে ৮টি চারের মারে করেছেন ১০২।
শেষদিকে আফিফ-মিরাজ মিলে মাত্র ৪২ বলে ৫৮ রানের একটি কার্যকরী পার্টনারশিপ গড়েন। ৩৫ বলে ৪৫ রান তুলে আউট হন আফিফ। আর ২৫ বলে ২৬ রান করেন মিরাজ। সাইফউদ্দিন ৮ রানে এবং শরিফুল শূন্যরানেই অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন লুক জংইউ। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।